শরীরে আগুন দিয়ে ১০০ মিটার একটি গাড়িকে টেনে নিয়ে গেলেন শুধু বিশ্বরেকর্ড করতে। ২৪ জুন ভিয়েনায় মাত্র ৫৬.৪২ সেকেন্ড সময় নিয়ে পুরো শরীর পুড়ে ১০০ মিটার গাড়ি টানার দ্রুততম রেকর্ডটি অর্জনকারী প্রথম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন জোসেফ টডলিং। এসময় তার পুরো শরীরে জ্বলছিল আগুন। রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে অনেকেই উপভোগ করছিলেন এই দৃশ্য।
বিশ্বের কয়েকশো কোটি মানুষের মধ্যে অদ্ভুত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই তো এসব উদ্ভট মানুষের উদ্ভট সব কার্যকলাপের স্বীকৃতিও দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। সেই বিশ্বরেকর্ড গড়তে আবার একেক জন একেক কাণ্ড ঘটান। তাদের মধ্যেই একজন হচ্ছেন জোসেফ টডলিং।
তবে বিশেষ সতর্কবার্তা হচ্ছে, বাড়িতে আপনি এই কাজ করতে যাবেন না। জোসেফ এই বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। অনেকদিন ধরেই তিনি এই কাজ করে আসছেন। এবারই প্রথম নয়, শরীরে আগুন লাগিয়ে নানান কাজ করে তিনি বিশ্বরেকর্ড করেছেন অনেকবার।
এজন্য তিনি অনেকদিন থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বিশেষ পোশাক এবং জেল ব্যবহার করেন শরীরে। এছাড়া তার সঙ্গে কয়েকজন মানুষ থাকেন যারা বিপদ বুঝলেই আগুন নেভাতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এবারও রেকর্ড গড়ার সময় জোসেফের দুপাশে দুজন হাতে আগুন নেভানোর যন্ত্র নিয়ে হাঁটছিলেন। সময়মতো আগুন নেভাতেও সক্ষম হোন তারা।
২০১৫ সালের ২৭ জুন জোসেফ তার গায়ে আগুন লাগিয়ে ঘোড়ার পেছনে নিজেকে আটকে ৫ মিটার পর্যন্ত টানিয়েছিলেন। অস্ট্রিয়ার বাসিন্দা জীবনের এতবড় ঝুঁকি নিলেও শেষমেশ বিশ্বরেকর্ড করেই বাড়ি ফিরেছিলেন। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জোসেফ হলেন একমাত্র ব্যক্তি যার নামে এই রেকর্ড রয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালে জোসেফ অস্ট্রিয়ার সালজবার্গ ফায়ার ডিপার্টমেন্টে ৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ড অগ্নিদগ্ধ হয়ে দীর্ঘতম সময়কালের ফুল-বডি পোড়ার (অক্সিজেন ছাড়া) রেকর্ড ভেঙেছিলেন।
২০২২ সালে ৪৯.৫৫ সেকেন্ড পুরো শরীরে আগুন লাগিয়ে ২০০ মিটার সাইকেল চালিয়ে আরেকটি রেকর্ড করেন। জোসেফ একজন প্রফেশনাল বাইকার। তিনি ৪৯টি সিনেমায় ঝুঁকিপূর্ণ বাইক রাইডিংয়ের বিভিন্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন।
সূত্র: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
কেএসকে/এএসএম