শহীদ-আহতদের স্বীকৃতি দিতে অনেকেরই দ্বিধা রয়েছে: শিবির সভাপতি

3 weeks ago 11

শহীদদের ত্যাগ এবং আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের আত্মত্যাগকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে অনেকেরই দ্বিধা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যে আন্দোলনে মা তার সন্তানকে শহীদ করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, সেই চেতনা আজ অনেকেই ধারণ করতে পারছে না। বিপ্লব-উত্তর এই বাস্তবতায় সেই আত্মত্যাগের স্পিরিটকে ধরে রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই: অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রদর্শনীটি ৭ ও ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, শান্তদের আত্মত্যাগে সূচনা হয়েছিল চব্বিশের ফ্যাসিবাদকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার সংগ্রামের। চব্বিশের আন্দোলন ছিল দলমত-নির্বিশেষে ছাত্রজনতার এক অভূতপূর্ব বিপ্লব, যেখানে কোনো একক দলের নয়, বরং পুরো জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছিল। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, একটি অপশক্তি সেই বিপ্লবকে প্রতিবিপ্লবে পরিণত করার চক্রান্তে লিপ্ত।

দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত আমাদের এই উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলায়, সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ব্রিটিশসহ একটি আদিপত্যবাদী শক্তি। তারা এখনো আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের নীলনকশা করেই যাচ্ছে।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আগে মিডিয়ার স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না উল্লেখ করে শিবির সভাপতি বলেন, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল রুদ্ধ। মতপ্রকাশের অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। যখন আমরা, বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখনই জুলুম, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি।

এ সময় তিনি ৩৬ জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে চব্বিশের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন শহীদ আদিলের বাবা আবুল কালাম, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হেলাল উদ্দিন এবং আন্দোলন চলাকালীন গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ।

Read Entire Article