শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত জাহাঙ্গীরের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে শোকের মাতম

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষীর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও আটজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৩০) বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। জাহাঙ্গীর আলম পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের মো. হজরত আলীর দ্বিতীয় ছেলে। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে যান। তার ব্যক্তিগত নম্বর সিএস-২২০১০৯। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক খুদে বার্তায় হতাহতের তথ্য জানায়। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপম দাস। আরও পড়ুন:সুদানে হতাহত ১৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর পরিচয় মিলেছে তিনি জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বাংলাদেশ সে

শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত জাহাঙ্গীরের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে শোকের মাতম

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষীর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও আটজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৩০) বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

জাহাঙ্গীর আলম পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের মো. হজরত আলীর দ্বিতীয় ছেলে। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে যান। তার ব্যক্তিগত নম্বর সিএস-২২০১০৯।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক খুদে বার্তায় হতাহতের তথ্য জানায়। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপম দাস।

আরও পড়ুন:
সুদানে হতাহত ১৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর পরিচয় মিলেছে

তিনি জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়, আবেই এলাকায় অবস্থিত ইউএন ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় মোট ১৪ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হন। এর মধ্যে ছয়জন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন (সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী)। নিহতদের একজন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর ছিলেন মেঝ। বড় ভাই মো. মোস্তফা প্রবাসী এবং ছোট ভাই মো. শাহিন মিয়া কৃষিকাজ করেন। প্রায় ১১ বছর ধরে তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও তিন বছর বয়সি একমাত্র ছেলে ইরফানকে রেখে দায়িত্ব আর স্বপ্ন নিয়ে তিনি সুদানে গিয়েছিলেন।

নিহতের বাবা মো. হযরত আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘যাওয়ার সময় বলেছিল আমাদের দেখাশোনা করতে। আমি অসুস্থ, দেশে ফিরে আমাকে সাহায্য করবে। যাওয়ার সময় কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিল। এখন আমার ছেলে আর নেই।’

নিহতের মা পালিমা বেগম ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমার বাবাকে এনে দেন। সে ছিল আমার ঘরের আলো।’

স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর মৃত্যুর খবরে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। স্বজনরা তাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুতে তারাকান্দি গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এসকে রাসেল/এমএন/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow