শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা মহড়া

3 months ago 25

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা মহড়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, সিএমপি, বাংলাদেশ আনসার, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, বিমানবাহিনী মেডিকেল টিম, শাহ আমানত বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একযোগে অংশ নেয়।

মহডায় কাল্পনিকভাবে দেখানো হয়- দুবাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা নেপচুন-৭৮৯ ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১১টার দিকে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের ২৫ মিনিট পূর্বে খবর আসে এএস-৩২ মডেলের উড়োজাহাজটি বোমাসদৃস বস্তু রয়েছে। জাহাজটিতে ৩০ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু রয়েছে। বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ার ও একটি অপরিচিত ফোনকলে জানানো হয় ফ্লাইটটিতে বোমা রয়েছে। এর পরপরই বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের থ্রেট এসেসমেন্টের মাধ্যমে বিমানটিতে বোমা থাকার সত্যতা পাওয়ায় বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে দ্রুততম সহযোগিতা চাওয়া হয়।

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা মহড়া

সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন জড়ো হন বিমানবন্দরে। পাশাপাশি হাজির হন বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের বোম্বডিস্পোজল ইউনিটের সদস্যরা। এরই মধ্যে বেলা ১১টার দিকে ফ্লাইট ল্যান্ড করলে বিমান থেকে ক্রুসহ ৩৪ যাত্রীকে সুস্থ অবস্থায় নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। ক্রিটিক্যালি আহত একজনকে উদ্ধার করে বিমানবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকার বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরে বোম্ব ডিসপোজল ইউনিটের প্রশিক্ষিত সদস্যরা বিমানটি থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসে। এরপর এয়ারফোর্স ও সোয়াদস এর দক্ষতায় উদ্ধার হওয়া দুটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। এরপর পুরো বিমানবন্দরকে নিরাপদ ঘোষণা দেওয়া হয়।

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা মহড়া

মহড়ায় সামরিক এয়ারক্রাফট এএন-৩২ এবং বিমানবাহিনীর সামরিক হেলিকপ্টার এমআই-১৭ ব্যবহার করা হয়। মূলত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) এর নির্দেশনা অনুযায়ী, হাইজ্যাক, অগ্নি নিরাপত্তা ও বোমা হামলাসহ বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য প্রতি দুই বছর অন্তর এ ধরনের মহড়ার আয়োজন করা হয়।

মহড়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করে মহড়ার আয়োজন করা হয়। মূলত নিজেদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা যাচাই করাই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য।

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা মহড়া

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ ধরনের নিরাপত্তা মহড়া থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগানো যাবে। নিরাপত্তা মহড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়শীলতা বৃদ্ধি পায়।

এমডিআইএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

Read Entire Article