দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেস টু কেস ভিত্তিতে মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিককে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুদকের পরিচালক (প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ ইকবাল বাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘আপনার দরখাস্ত বিবেচনাক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলাগুলো পরিচালনার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৩৩(৩) ধারা অনুযায়ী কমিশন আপনাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে নিয়োগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
শাহদীন মালিককে যেসব শর্তে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে
• কেস টু কেস ভিত্তিতে কমিশন নির্ধারিত হারে তিনি সম্মানি পাবেন।
• নিয়োজিত থাকাকালে দুদকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না।
• কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারবেন না।
• প্রতি বছর জানুয়ারিতে কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিয়োগ বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
• প্রয়োজনে অনুসন্ধান বা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এজাহার প্রস্তুত ও চার্জশিট দাখিলে সহযোগিতা করতে হবে।
• এ নিয়োগ সম্পূর্ণ অস্থায়ী এবং কমিশন যে কোনো সময় কোনো কারণ ছাড়াই তা বাতিল করতে পারবে।
দুদক সাধারণত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্যানেল আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগ দেয়। কমিশনের ওয়েবসাইটে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পিপি হিসেবে নিয়োগ পেতে ১০ বছরের মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ন্যূনতম ১০টি মামলা নিষ্পত্তির শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০টি মামলার নিষ্পত্তি থাকা বাধ্যতামূলক। অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত শিথিল করা হলেও রাজনৈতিক দলের পদে থাকা, সাজাপ্রাপ্ত হওয়া কিংবা ঋণ খেলাপি হলে প্রার্থীরা অযোগ্য বিবেচিত হন।
এসএম/এমএএইচ/এমএস