শিক্ষকদের কৌশলে ভর্তি অনিশ্চিত শিক্ষার্থীদের
রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে কৌশল অবলম্বন করছেন শিক্ষকরা। এতে অনেক শিক্ষার্থীদের ভর্তি অনিশ্চিত হতে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। তবে অভিভাবকদের প্রতি উল্টো অভিযোগ শিক্ষকদের। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবগত করাসহ অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের। ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি শ্রেণির প্রতি শাখায় সর্বোচ্চ শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৫ জন হবে। সে ক্ষেত্রে ৩টি শাখার বিদ্যালয়ে মোট ১৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। অতিরিক্ত ভর্তির আবেদন করা শিক্ষার্থীরা লটারির মাধ্যমে বাদ পড়ে যাবেন। এসব নিয়ম নীতি জানার পরেও শুধু নিজ স্কুল চয়েস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি আবেদন সম্পন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছেন শিক্ষকরা। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা সদরের স্কুলগুলোতে দেখা গেছে এমন চিত্র। এতে ১৬৫ জনের অতিরিক্ত আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক অভিভাবক অভিযোগ তুলেছেন শুধু একটি স্কুল চয়েস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন করছেন স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ফলে ভর্তির আবেদন করা একাধিক শিক্ষার্থীরা লটারিতে বাদ পড়লে উপজেলা সদরের কোনো স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না। আব
রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে কৌশল অবলম্বন করছেন শিক্ষকরা। এতে অনেক শিক্ষার্থীদের ভর্তি অনিশ্চিত হতে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। তবে অভিভাবকদের প্রতি উল্টো অভিযোগ শিক্ষকদের। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবগত করাসহ অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি শ্রেণির প্রতি শাখায় সর্বোচ্চ শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৫ জন হবে। সে ক্ষেত্রে ৩টি শাখার বিদ্যালয়ে মোট ১৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। অতিরিক্ত ভর্তির আবেদন করা শিক্ষার্থীরা লটারির মাধ্যমে বাদ পড়ে যাবেন।
এসব নিয়ম নীতি জানার পরেও শুধু নিজ স্কুল চয়েস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি আবেদন সম্পন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছেন শিক্ষকরা। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা সদরের স্কুলগুলোতে দেখা গেছে এমন চিত্র। এতে ১৬৫ জনের অতিরিক্ত আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একাধিক অভিভাবক অভিযোগ তুলেছেন শুধু একটি স্কুল চয়েস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন করছেন স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ফলে ভর্তির আবেদন করা একাধিক শিক্ষার্থীরা লটারিতে বাদ পড়লে উপজেলা সদরের কোনো স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না। আবেদনের সময় শিক্ষকরা একের অধিক চয়েস দিলে এমনটি হতো না।
জানা গেছে, পাংশা উপজেলা সদরে মোট এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ, কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমি ও পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় নামের ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠে ইতোমধ্যে ১৯১জন শিক্ষার্থীর আবেদন করা হয়েছে। যার অধিকাংশই নিজ প্রতিষ্ঠান চয়েস দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠান চয়েস দিয়েছি। ছেলেদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের কথা মতোই আমি আবেদন করেছি।
পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ১২১ জন শিক্ষার্থীর আবেদন করা হয়েছে। যার সবগুলোই নিজ প্রতিষ্ঠান চয়েজ দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সান্তনা দাস বলেন, আমরা শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠান চয়েজ দিয়ে ভর্তি করেছি। শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানোর পর আমরা আর আবেদন করছি না।
কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমিতে ১১৮ জন শিক্ষার্থীর আবেদন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, আমরা প্রথম থেকেই একের অধিক বিদ্যালয় চয়েস দিয়ে আবেদন করেছি পাশাপাশি আমরা অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করছি।
আবুল কালাম আজাদ নামের এক অভিভাবক বলেন, আমার বাচ্চাকে পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তারা শুধু নিজের স্কুল চয়েস দিয়ে ভর্তির আবেদন করেছেন। আমাদের দ্বিতীয় চয়েজ দেওয়ার কোন সুযোগ দেয়নি। ফলে আমার বাচ্চা লটারীতে বাদ পড়লে শহরের অন্যকোনো স্কুলে ভর্তি করতে পারবো না।
পাংশা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইতোমধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে মিটিং করে বলে দেওয়া হয়েছে। আবেদনের সময় অবশ্যই প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রতিষ্ঠান চয়েজ দেওয়ার জন্য। যেন লটারিতে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় চয়েজ দেওয়া প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পায়।
What's Your Reaction?