শিক্ষকদের মহাসমাবেশ শুরু, দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা

1 month ago 7

দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে এতে অংশ নিয়েছেন সারা দেশ থেকে আসা কয়েক হাজার শিক্ষক।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- দুপুর ২টা পর্যন্ত সমাবেশ করবেন তারা। এরপর সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি করার কথা রয়েছে শিক্ষকদের।

শিক্ষকদের মহাসমাবেশ শুরু, দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা

‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশে যোগ দিতে দেশের ৬৪ জেলা থেকে এরই মধ্যে ঢাকায় এসেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

এদিকে, শিক্ষকদের সমাবেশের কারণে পল্টন থেকে হাইকোর্ট ও শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।

জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতারা জানান, মহাসমাবেশ সফল করতে প্রতিটি বিভাগে ৮ জন করে শিক্ষককে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমন্বয়করা জেলা ও জেলার সমন্বয়করা উপজেলাপর্যায়ে সমন্বয়ক মনোনীত করে দিয়েছেন। সমাবেশে শিক্ষকদের নির্বিঘ্নে আসা এবং বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে আগেভাগেই বাস রিজার্ভ করে রাখা হয়েছে।

শিক্ষকদের মহাসমাবেশ শুরু, দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা

কোনো কোনো উপজেলা থেকে একাধিক বাস রিজার্ভ করে রাখা হচ্ছে। সমাবেশে আসা শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ- বারবার আলোচনা, টেবিল কনফারেন্স, সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেও পূর্ববর্তী সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৪৪ দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি করার পরও দাবি উপেক্ষিত থাকে।

শিক্ষকদের মহাসমাবেশ শুরু, দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা

জাতীয়করণ, বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধিসহ সব দাবি-দাওয়া আদায়ে এবার তারা ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে অংশ নিতে দেশের ৬৪ জেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ঢাকায় এসেছেন।

সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত ও বামপন্থি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও একাত্মতা জানিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন।

এএএইচ/এমআরএম/এমএস

Read Entire Article