শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে অবস্থতি বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ভবন দ্রুত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে মাউশির সেই নির্দেশনায় কান দিচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। মাউশি সূত্র জানায়, চলতি বছরের এপ্র্রিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সুপারিশের ভিত্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকাসহ সারাদেশে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। অসংখ্য ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ভবন হেলে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত সবাই। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো। জানতে চাইলে মাউশির সাধারণ প্রশাসন শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, গত দুই বছরে অসংখ্যবার চিঠি দেওয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে অবস্থতি বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ভবন দ্রুত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে মাউশির সেই নির্দেশনায় কান দিচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

মাউশি সূত্র জানায়, চলতি বছরের এপ্র্রিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সুপারিশের ভিত্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকাসহ সারাদেশে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। অসংখ্য ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ভবন হেলে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত সবাই। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো।

জানতে চাইলে মাউশির সাধারণ প্রশাসন শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, গত দুই বছরে অসংখ্যবার চিঠি দেওয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি তদবির করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পথ আটকে দেন। গত এপ্রিলেও সবশেষ আরেক দফায় চিঠি দেওয়া হয়। এসব চিঠিতে কখনও বলা হয়েছিল ৭ দিনের মধ্যে ভবন ভাঙতে হবে। আবার কোথাও বলা হয়েছিল দুই সপ্তাহের মধ্যে ভবন ভেঙে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে। কিন্তু কেউ ভবনগুলো ভেঙেছে বা কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে আমাদের কাছে কোনো তথ্য আসেনি।

আরও পড়ুন:
ভূমিকম্পে শেকৃবির ৭ হলের ৩টিতে ফাটল
‘আমরা থাকি মৃত্যুকূপে, কর্মচারীরা থাকেন আলিশানে’
ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে ঢাবির মুহসীন হলের ছাদ থেকে লাফ, আহত ৬

তিনি বলেন, ‘আজ যে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলো, তাতে হয়তো আগামী কর্মদিবসে আবার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভাঙার ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হতে পারে। শুধু চিঠি না দিয়ে ভবন না ভাঙা পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নোটিশ দিলে হয়তো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’

মাউশির তালিকাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৪ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্প (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে। এরমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন রাজউকের তালিকায় থাকা ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন ৪৪টি।

বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মিরপুর-১ নম্বরের সরকারি বাংলা কলেজ, নারায়ণগঞ্জের সরকারি কদম রসুল কলেজ, গাজীপুরের সরকারি কালিগঞ্জ শ্রমিক কলেজ, ডেমরার হায়দার আলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর-১৩ নম্বরের হাজী আলি হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়।

সূত্রাপুরের কবি নজরুল সরকারি কলেজ, গাজীপুরের কালিগঞ্জ আর আর এন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, কেরানীগঞ্জ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকার সায়েদাবাদের করাতিটোলা সিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তার শ্যামলনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ তেজগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।

কদমতলীর একেকে উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড ব্রাইট কলেজ, বাড্ডার একেএম রহমাতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কদমতলীর কে এম মাইনুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (মিঠাব), আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কোতোয়ালি থানার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি, গোড়ানের আলী আহমেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্টনের আরামবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, লালবাগের আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়।

এএএইচ/এসএনআর/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow