‘শিক্ষামন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন্ত্রী নয়’

4 months ago 52

‘যে শিক্ষামন্ত্রী সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা থাকা জরুরি মনে করছেন, সেই শিক্ষামন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন্ত্রী নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে রোববার (৯ জুন) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন আন্দোলনকারীরা।

সমাবেশে ঢাবির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান রেখেই সেটি প্রত্যাখ্যান করছি। হাইকোর্টকে সম্মান করি, কিন্তু যে রায় আমাদের বিরুদ্ধে যায়, ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে যায়, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় সেই রায় গ্রহণ করতে পারি না। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কোটা প্রথা থাকা জরুরি। আমি মনে করি, সেই শিক্ষামন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন্ত্রী নয়। আমরা বলতে চাই, অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য তাকে মন্ত্রী বানানো হয়নি।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সমতা। কোটাপ্রথার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বরখেলাপ হয়েছে। যেই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রক্ত, ঘাম ও শ্রম দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন আমরা তাদের সম্মান করি। আমরা সম্প্রতি দেখেছি মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার করা হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে নয়। তাদের প্রয়োজনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু তাদের দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রজন্মের প্রতি যে সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে, যে কোটা দেওয়া হচ্ছে এটা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। আমরা যে মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণের চেষ্টা করছি সেখান থেকে পিছিয়ে যাবো।

‘শিক্ষামন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন্ত্রী নয়’

এর আগে সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন তারা। লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু-ভাস্কর্যে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা প্রথা মানি না মানব না’, ‘মেধা না কোটা-মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়-কোটার কোনো ঠাঁই নাই’, ‘আঠারোর হাতিয়ার-গর্জে উঠুক আরেকবার’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এমএইচএ/এমএএইচ/জেআইএম

Read Entire Article