শিক্ষার্থী হত্যা: সাবেক এমপি শাহে আলম তিনদিনের রিমান্ডে

1 month ago 23

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই রাজু আহমেদ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম তালুকদারকে আটক করে পুলিশে দেন জনতা।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম মো. নাইমুর রহমান (২২) গুলশান ডিগ্রি কলেজের একজন ছাত্র ছিলেন। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলশান থানাধীন শাহাজাদপুর মেইন রোডস্থ সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিংমলের সামনে অবস্থান করে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন করতে থাকেন। বিকেল ৪টার পর ৪০০ থেকে ৫০০ জন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী আন্দোলনকারীদের অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন।

আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকায় মামলার বাদী নাইমুরের বাবা খলিলুর রহমান আত্মরক্ষার্থে পাশের গলির একটি ভবনে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন। ওই বিল্ডিংয়ে অবস্থানকালে তিনি মুহুর্মুহু গুলির শব্দ ও লোকজনের চিৎকার শুনতে পান। কিছু সময় পর গুলির আওয়াজ বন্ধ হলে খলিলুর রহমান বাইরে এসে ছেলেকে খুঁজতে থাকেন। দীর্ঘসময় খোঁজার পর একসময় লোকমুখে জানতে পারেন উক্ত আসামিদের গুলিতে বহু লোক হতাহত হয়েছেন এবং তাদের কিছু লোককে বাড্ডা এএমজেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। বাদী সঙ্গে সঙ্গে ওই হাসপাতালে গিয়ে নাইমুর রহমানকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

এ ঘটনায় খলিলুর রহমান গুলশান থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক চিফ হুইফ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ।

জেএ/ইএ/জিকেএস

Read Entire Article