চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ জানিয়ে এর দায় রাষ্ট্র এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায় এবং সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
নেতারা বলেন, অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে তা অভ্যুত্থানকারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অভ্যুত্থান পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী শ্রমিকদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা, দেশব্যাপী মাজার ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য মবলিঞ্চিং-এর বিচার না করার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বজায় রেখেছে, তা সাম্প্রতিক গুপ্ত হত্যাকাণ্ডগুলোকে আরও উসকে দিচ্ছে।
- আরও পড়ুন:
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ
রামপুরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-মশাল মিছিল
অভ্যুত্থানকারী শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ড ও অনিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রকে দায়ী করে নেতারা আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেমন গুম, খুন ও বিরোধী মত দমনের সংস্কৃতি চালু ছিল, অভ্যুত্থানের পরও সেই ধারাবাহিকতা রয়ে গেছে। এটি অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি ও জনগণের প্রত্যাশার পরিপন্থি। বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী অবিলম্বে সাম্প্রতিক গুপ্ত হত্যাকাণ্ডগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও মূলহোতাদের চিহ্নিত করে বিচার কার্যকর করার দাবি জানায়। পাশাপাশি, নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. ওয়াজেদ সীমান্ত, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহান, মিরপুর ভাষানটেক সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুজানা এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী কাব্যসহ একাধিক শিক্ষার্থীর নির্মম হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।
নেতারা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম সক্রিয় করে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই রাষ্ট্র ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। জনগণের নিরাপত্তা ও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে এর গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এমএইচএ/এমআরএম