শিক্ষার্থীদের দাবি স্বচ্ছ ও প্রভাবমুক্ত ভোট

3 days ago 5

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। দীর্ঘ ২৮ বছর এ নির্বাচন আয়োজন চলছে। এর আগে ১৯৯৭ সালের ২৫ আগস্ট সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল।

উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গণতান্ত্রিক আবহে ইতোমধ্যে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন হয়েছে, চাকসু ও রাকসুর তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষণার পর থেকে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উচ্ছ্বাস ও আলোচনার ঝড়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, শাকসু শুধু ভোট নয়, এটি হবে গণতান্ত্রিক চর্চা, অধিকার আদায় ও নতুন নেতৃত্ব গড়ার বড় সুযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান বলেন, শাকসু নির্বাচন আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের প্রজন্মের গণতান্ত্রিক চর্চা ও নেতৃত্ব গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। প্রশাসন যেন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করে, যাতে সত্যিকার অর্থে শিক্ষার্থীদের মতামতই জয়ী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবির সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন বলেন, দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে তাদের মনের কথা বলতে পারে, সে সুযোগ শাকসুই দিতে পারে।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, শাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণার খবরে আমরা সবাই আশাবাদী হয়েছি। এ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার, মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে এবং জুলাই অভ্যুত্থানের ত্যাগের মূল্যায়ন হবে। প্রশাসনকে অবশ্যই প্রভাবমুক্ত ও অবাধ ভোটের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মমিনুর রশিদ শুভ মনে করেন, শাকসু ছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ নেই। একমাত্র শাকসুই পারে সব শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর একত্রিত করতে এবং প্রকৃত নেতৃত্ব গড়ে তুলতে।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক ফয়সাল হোসাইন দ্রুত তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানসহ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যারা সোচ্চার ছিল, তাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রশাসনের গড়িমসি গ্রহণযোগ্য নয়।

শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ফিরে পাক গণতান্ত্রিক চর্চা ও নতুন নেতৃত্ব।

এসএইচ জাহিদ/আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article