পরিবেশবিরোধী পলিথিনের ব্যবহার রোধে উৎপাদন, বিপণন এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধে শিগগির অভিযানে নামবে র্যাব।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বিকেলে পরিবেশবিরোধী পলিথিন বন্ধে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে র্যাব। এসময় সেখানে উপস্থিত হয়ে একথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান।
শহিদুর রহমান বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাপারে জোরদার অভিযান পরিচালনা করছেন। সেই অভিযানে আমরা যেন তাদের সঙ্গে থাকি। সেই লক্ষে আমরা আজকে এখানে এসেছি। আপনারা জানেন যে, নিষিদ্ধ পলিথিন আমাদের পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকর।
র্যাব ডিজি বলেন, আমাদের দেশের যে ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম, হয়তো কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু পরিবেশ নষ্ট ও পরিবেশের ওপরে যে আক্রমণ সেটি কিন্তু আমাদের মানবজাতি বা প্রাণিজগতকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সুতরাং আমরা যাতে পরিবেশ নষ্ট না করি, আমাদের পরিবেশ যাতে ঠিক থাকে, আমরা যাতে আমাদের পৃথিবীকে ভালো একটা পরিবেশে রাখতে পারি সে জন্যই পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যে পলিথিনবিরোধী অভিযান সেই অভিযানে আমরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছি এবং এই নিষিদ্ধ পলিথিন যাতে ব্যবহার না হয়, এটা যাতে বন্ধ করা যায় সেজন্য আমরা একযোগে কাজ করবো।
- আরও পড়ুন:
গাজীপুরে ২ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার
কিশোরগঞ্জে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনের দায়ে তিন কারখানাকে জরিমানা
সাড়ে ৫ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা আদায়
হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব ক্ষেত্রেই অর্থাৎ উৎপাদন, বিপণন এবং খুচরা ব্যবহার সব ক্ষেত্রেই কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরইমধ্যে বিকল্প হিসেবে আপনারা জানেন যে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি এবং কাগজের ব্যাগ যেটা আজকে আমাদের যে এই মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম এই প্রোগ্রামে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
এসময় অবৈধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেস এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), র্যাবের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।
কেআর/এসএনআর/জেআইএম