ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ফাতিমা তাসনিম জুমা।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থী জুমা পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩১ ভোট। এই পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরিফুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭০ ভোট।
ছাত্রশিবিরের শিবিরের পক্ষে প্রার্থিতা ঘোষণার পর সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন জুমা। তার ব্যক্তিগত কিছু নাচের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যদিও তিনি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এসবের জবাব দিয়েছেন। সেসব ভিডিওর নিচে অবশ্য ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি দেখা যায়।
এর আগে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
- আরও পড়ুন
শাহবাগী, হিজাবি ট্যাগ মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ নারী প্রার্থীদের
শিবিরের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটেড প্রোপাগান্ডা চলছে: সাদিক কায়েম
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ডাকসু নির্বাচনে এবার ভূমিধস জয় হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের। সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদসহ ২৮টি পদের বেশিরভাগ পদে জয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা।
ভিপি পদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা সাদিক কায়েম, জিএস পদে এস এম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান জয়ী হয়েছেন।
সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন। জিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা। ভোটাররা ডাকসুর ২৮টি পদ এবং প্রতিটি হল সংসদের ১৩টি পদে ভোট দেন। কেন্দ্রীয় সংসদের পদগুলোতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে, হল সংসদের ১৮টি হল থেকে এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। অর্থাৎ ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়।
ইএ/জেআইএম