ভারতের বিশিষ্ট পুতুল নাচের শিল্পী মাগুনি চরণ কুঁয়ার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। মহান এ শিল্পীর মৃত্যুকে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
ওড়িশার কেওনঝড়ের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সারাজীবন ধরে লুপ্তপ্রায় রড পাপেট্রির জন্য কাজ করেছেন। তার জন্য তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেছেন।
১৯৩৭ সালে জন্ম মাগুনি চরণ কুঁয়ারের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তার ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’র শুরু। এ নাচ মুগ্ধ করে দিত মাগুনি চরণকে। যেমন শিক্ষা, তেমনই ছিল দক্ষতা। কেওনঝড়ের সীমানা ছাড়িয়ে নানা শহরে যেতে শুরু করেন মাগুনি চরণ। বিভিন্ন জায়গায় নিজের এই পুতুল নাচ দেখিয়েছেন।
লুপ্তপ্রায় এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সারাজীবন চেষ্টা করেছেন মাগুনি চরণ কুঁয়ার। তিনি একজন প্রসিদ্ধ ভাস্করও ছিলেন। সিনেমার সংলাপ লেখার জন্যও জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিলেন তিনি।
লুপ্তপ্রায় রড পাপেট্রিতে মাগুনি চরণ কুঁয়ারের অবদানের জন্যই ২০২৩ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুই পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন শিল্পীর হাতে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘শ্রী মাগুনি চরণ কুঁয়ারের প্রয়াণের খবরে আমি অত্যন্ত শোকাহত।
ଓଡ଼ିଶାର ବିଶିଷ୍ଟ କଣ୍ଢେଇ ନୃତ୍ୟଗୁରୁ ଶ୍ରୀ ମାଗୁଣି ଚରଣ କୁଅଁରଙ୍କ ବିୟୋଗରେ ମୁଁ ଅତ୍ୟନ୍ତ ମର୍ମାହତ । ପାରମ୍ପରିକ କଣ୍ଢେଇ ନୃତ୍ୟର ପ୍ରଚାର ପ୍ରସାର ପାଇଁ ସେ ପଦ୍ମଶ୍ରୀ ସମ୍ମାନରେ ସମ୍ମାନିତ ହୋଇଥିଲେ । ସେ ଛାଡ଼ିଯାଇଥିବା ପଦଚିହ୍ନ ସର୍ବଦା ପ୍ରେରଣାର ଉତ୍ସ ହୋଇ ରହିବ । ତାଙ୍କ ଶୋକସନ୍ତପ୍ତ ପରିବାର, ବନ୍ଧୁ-ପରିଜନ ଓ ପ୍ରଶଂସକମାନଙ୍କୁ… pic.twitter.com/fGeocmogtK
— President of India (@rashtrapatibhvn) June 1, 2024ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যকে জনপ্রিয় করার জন্য তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। নিজের কাজের মাধ্যমে যে পদচিহ্ন তিনি রেখে গিয়েছেন তা সবসময় অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকবে। শিল্পীর পরিবার, বন্ধু ও অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
এমএমএফ/জেআইএম