শিশু সাজিদের অপেক্ষায় উৎসুক জনতার নির্ঘুম রাত 

রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাচোন্দর ইউনিয়নের কোয়েলের হাট পূর্বপাড়া বিলের মাঠ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে ধানের সেই বিলের পরিত্যক্ত টিউবওয়েলের প্রায় ৪০ ফুট গভীরে গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। মাত্র আট সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের চিকন সেই গর্তে পড়ে যাওয়ায় শিশুটির অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছিল না উদ্ধার কর্মীরা।  ফায়ার সার্ভিসের অনুসন্ধান ক্যামেরা ৩৫ ফুট নিচুতে গিয়ে আটকে যায়। কিন্তু শিশুটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এজন্য উদ্ধারকর্মীরা সিদ্ধান্ত নেয় পরিত্যক্ত সেই টিউবওয়েল এর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটি উদ্ধার করতে হলে গর্তের পাশেই অন্তত ৪০ ফুট এক্সিবিটর দিয়ে মাটি সরাতে হবে। তাহলেই হয়তো বিকল্প সুরঙ্গ খুড়ে শিশুটির সন্ধান মিলবে। শিশু সাজিদকে উদ্ধারে দুটি এক্সিবিটর পরিত্যক্ত ডিপ টিউবওয়েলটির পশ্চিম পাশেই রাতভর মাটি খননের কাজ করতে থাকে। ছোট্ট শিশুটিকে কখন, কিভাবে উদ্ধার করা হবে সেই মহেন্দ্রক্ষণ এর অপেক্ষায় ছিল তানোরের পাচোন্দর ইউনিয়নের শত শত উৎসুক জনতা। ছোট্ট সাজিদের অপেক্ষায় রাতভর তারা নির্ঘুম কাটাচ্ছেন। পাশের গ্রাম থেকে উদ্ধার তৎপরতা দেখতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশু সাজিদ গর্তে প

শিশু সাজিদের অপেক্ষায় উৎসুক জনতার নির্ঘুম রাত 

রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাচোন্দর ইউনিয়নের কোয়েলের হাট পূর্বপাড়া বিলের মাঠ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে ধানের সেই বিলের পরিত্যক্ত টিউবওয়েলের প্রায় ৪০ ফুট গভীরে গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। মাত্র আট সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের চিকন সেই গর্তে পড়ে যাওয়ায় শিশুটির অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছিল না উদ্ধার কর্মীরা। 

ফায়ার সার্ভিসের অনুসন্ধান ক্যামেরা ৩৫ ফুট নিচুতে গিয়ে আটকে যায়। কিন্তু শিশুটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এজন্য উদ্ধারকর্মীরা সিদ্ধান্ত নেয় পরিত্যক্ত সেই টিউবওয়েল এর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটি উদ্ধার করতে হলে গর্তের পাশেই অন্তত ৪০ ফুট এক্সিবিটর দিয়ে মাটি সরাতে হবে। তাহলেই হয়তো বিকল্প সুরঙ্গ খুড়ে শিশুটির সন্ধান মিলবে।

শিশু সাজিদকে উদ্ধারে দুটি এক্সিবিটর পরিত্যক্ত ডিপ টিউবওয়েলটির পশ্চিম পাশেই রাতভর মাটি খননের কাজ করতে থাকে। ছোট্ট শিশুটিকে কখন, কিভাবে উদ্ধার করা হবে সেই মহেন্দ্রক্ষণ এর অপেক্ষায় ছিল তানোরের পাচোন্দর ইউনিয়নের শত শত উৎসুক জনতা। ছোট্ট সাজিদের অপেক্ষায় রাতভর তারা নির্ঘুম কাটাচ্ছেন।

পাশের গ্রাম থেকে উদ্ধার তৎপরতা দেখতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশু সাজিদ গর্তে পড়ে থাকবে আর আমরা বাড়িতে ঘুমাবো, এটা হতেই পারে না। এজন্য ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতার সঙ্গে রাতভর আমরাও শিশুটির জন্য জেগে ছিলাম। যাতে ছোট্ট সাজিদ সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। 

শুধু আমিনুল ইসলাম নয়; তার মত শত শত মানুষ শিশুটির জন্য দোয়া করছিলেন আর বলছিলেন, ‘আল্লাহ তুমি শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিয়ে এক অলৌকিক ঘটনা সৃষ্টি করো।’

অঘোর মন্ডল নামে আরেক বৃদ্ধ বলেন, ‘আমরা সবাই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি, আল্লাহ যেন শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।’

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow