শিশুকে হত্যার পর মরদেহ গুম: চাচির যাবজ্জীবন, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

3 weeks ago 4

কুমিল্লার তিতাসে চাচির অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় ৭ বছরের শিশু সায়মনকে হত্যা ও গুমের ঘটনায় বিল্লাল পাঠান নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় নিহতের চাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে সায়মন মায়ের সঙ্গে তিতাসের বাতাকান্দি বাজারে যায়। পরে বাড়ি ফেরার পথে সায়মন নিখোঁজ হয়। ঘটনার দুইদিন পর ১৮ আগস্ট সন্ধান চেয়ে তিতাস থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। ১৯ আগস্ট সকালে বজলুর রহমানের বালুর মাঠের ঝোপের ভেতর থেকে সায়মনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার চাচি শেফালী বেগম এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশেন তদন্তে বিল্লাল পাঠানের নাম উঠে আসে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আসামি শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

অভিযোগপত্র দায়ের ও দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামি বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড এবং সায়মনের চাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দুজনকেই মরদেহ গুমের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজাও ঘোষণা করেন বিচারক।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. ইকবাল হোসেন বলেন, চাচি শেফালী বেগমের সঙ্গে বিল্লাল পাঠানের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়।

মামলার বাদী ও নিহত সাময়নের মা খোরশেদা আক্তার বলেন, আমি আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট। তবে রাষ্ট্রের কাছে দাবি আমার সন্তান হত্যাকারীদের শাস্তি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। যা দেখে দেশের মানুষ সতর্ক হতে পারে এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এএসএম

Read Entire Article