শিশুর ত্বকের জন্য ঘরে বানান ময়েশ্চারাইজার

শীত এখনো পুরো জাঁকিয়ে বসেনি, তবুও গা, হাত-পা যেন আগেভাগেই ফেটে চৌচির। নিজেকে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে চাইলে ত্বকের বাড়তি যত্ন এখনই জরুরি। শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। এই রুক্ষতা থেকেই শুরু হয় টানটান অনুভূতি, খসখসে ভাব, কখনো আবার জ্বালা বা চুলকানি। শিশুর কোমল ত্বক এই আবহাওয়ায় আরও বেশি সংবেদনশীল হয়। ছোটদের গাল, হাত-পা সহজেই শুকিয়ে যায় এবং দেখা দেয় লালচে দাগ ও অস্বস্তিকর চুলকানি। তাই শীত আসার আগেই নিয়মিত যত্ন নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ময়েশ্চারাইজারের স্পর্শেই শিশুর ত্বক ফিরে পেতে পারে তার স্বাভাবিক কোমলতা। যারা বাজারের কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে চান না, তারা চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন নিরাপদ ও পুষ্টিকর ময়েশ্চারাইজার। আসুন জেনে নেওয়া যাক ময়েশ্চারাইজার যেভাবে বানাবেন - ১. প্রথমে দুধকে ধীরে ধীরে ঘন করে জ্বাল দিয়ে তার উপরের সর সরিয়ে নিন। এই সরটি পরিষ্কার একটি পাত্রে রাখুন। এরপর এটি ৩-৫ মিনিট ধরে ভালো করে ফেটিয়ে নিন, যতক্ষণ না এটি ঘন ও মিহি মিশ্রণ হয়ে যায়। সর ঘন হয়ে গেলে তাতে ধীরে ধীরে নারিকেল তেল, আমন্ড অয়েল এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে নাড

শিশুর ত্বকের জন্য ঘরে বানান ময়েশ্চারাইজার

শীত এখনো পুরো জাঁকিয়ে বসেনি, তবুও গা, হাত-পা যেন আগেভাগেই ফেটে চৌচির। নিজেকে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে চাইলে ত্বকের বাড়তি যত্ন এখনই জরুরি। শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। এই রুক্ষতা থেকেই শুরু হয় টানটান অনুভূতি, খসখসে ভাব, কখনো আবার জ্বালা বা চুলকানি।

শিশুর কোমল ত্বক এই আবহাওয়ায় আরও বেশি সংবেদনশীল হয়। ছোটদের গাল, হাত-পা সহজেই শুকিয়ে যায় এবং দেখা দেয় লালচে দাগ ও অস্বস্তিকর চুলকানি। তাই শীত আসার আগেই নিয়মিত যত্ন নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ময়েশ্চারাইজারের স্পর্শেই শিশুর ত্বক ফিরে পেতে পারে তার স্বাভাবিক কোমলতা। যারা বাজারের কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে চান না, তারা চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন নিরাপদ ও পুষ্টিকর ময়েশ্চারাইজার।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ময়েশ্চারাইজার যেভাবে বানাবেন -

১. প্রথমে দুধকে ধীরে ধীরে ঘন করে জ্বাল দিয়ে তার উপরের সর সরিয়ে নিন। এই সরটি পরিষ্কার একটি পাত্রে রাখুন। এরপর এটি ৩-৫ মিনিট ধরে ভালো করে ফেটিয়ে নিন, যতক্ষণ না এটি ঘন ও মিহি মিশ্রণ হয়ে যায়। সর ঘন হয়ে গেলে তাতে ধীরে ধীরে নারিকেল তেল, আমন্ড অয়েল এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর মধু ও গ্লিসারিন যোগ করুন। এই দুই উপাদান ত্বককে আর্দ্র ও সতেজ রাখে এবং শুষ্কতার সমস্যা দূর করে। সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে নিলে সুন্দর সুগন্ধ আসে। চাইলে খুব সামান্য ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলও মেশাতে পারেন, তবে এসেনশিয়াল অয়েল অ্যালার্জি করতে পারে, তাই সাবধানে ব্যবহার করা উচিত। এটি একটি পরিষ্কার, বায়ুনিরোধী কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। এটি শিশুর ত্বককে পুষ্টি দেবে, নরম রাখবে এবং ঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে তিন-চার মাস ব্যবহার করা যাবে।

২. শিশুর কোমল ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ঘরোয়া ক্রিম বানাতে বাদাম তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে একটি ছোট পাত্রে এই তেল দুটো সমান পরিমাণে নিন এবং হালকা গরম করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর অল্প মধু যোগ করুন, যা ত্বককে নরম ও আর্দ্র রাখে। চাইলে সামান্য অ্যালোভেরা জেল মেশাতে পারেন, এটি ত্বককে ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। সব উপকরণ মিশিয়ে ঘন ও সমান হয়ে গেলে, এটি একটি পরিষ্কার, বায়ুনিরোধী কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। এই ক্রিম শিশুর ত্বককে পুষ্টি দেবে, নরম রাখবে এবং ঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে তিন-চার মাস ব্যবহার করা যাবে। শিশুর ত্বকের সঠিক যত্ন শীতকালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে নরম, পুষ্টিকর ও আর্দ্র, এবং শিশু পুরো শীতজুড়ে স্বস্তিতে থাকবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হ্যালো গ্লো ও অন্যান্য

আরও পড়ুন
শীতকালে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ভূমিকম্পের পর শিশুর প্যানিক অ্যাটাক হলে যা করবেন

এসএকেওয়াই/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow