জীবনের প্রথম এক হাজার দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রয়োজনীয় মানসিক, সামাজিক ও আবেগিক বিকাশজনিত যত্ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ১৫ মিলিয়ন শিশু। পাশাপাশি আট বছরের কম বয়সী ৩৫ মিলিয়ন শিশু যারা দেশের জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ, তারা কেবল আংশিক এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা পায়। যদিও মানসিক, সামাজিক ও আবেগিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় খুব কম সুযোগ সুবিধাই পেয়ে থাকে।
এ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে জাতীয় ইসিডি সম্মেলনে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি ‘শিশু অধিদপ্তর’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজের নৈতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে শুধু প্রকল্পভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণের পরিবর্তে শিশুদের জন্য একটি জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের সাবেক সহ-সভাপতি ও সেভ দ্য চিলড্রেন-এর সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা এম. হাবিবুর রহমানকে শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। শিশুদের, বিশেষ করে গার্মেন্টস কারখানার শ্রমজীবী মায়েদের শিশুদের জন্য শিশু যত্ন সেবা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকার জন্য এনজিও ‘ফুলকি’কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ঢাকা ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২৬-২৭ মে। সম্মেলনে ২০১৩ সালে সরকারের শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি গ্রহণের পরবর্তী অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে তিন শতাধিক অংশগ্রহণকারী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের পুষ্টি বিভাগের প্রধান দীপিকা মেহরীশ শর্মা। বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের চেয়ারপার্সন ড. মনজুর আহমদ বাংলাদেশের শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ও বাস্তবায়নের সার্বিক পর্যালোচনা তুলে ধরেন।
এমএইচআর/এএসএম

5 months ago
96









English (US) ·