শীতকালেও হতে পারে পানিশূন্যতা, সুস্থ থাকবেন যেভাবে

2 hours ago 5

আমাদের অনেকের ধারণা গরমের সময়েই পানিশূন্যতা হতে পারে বা হয়ে থাকে। আসলে এ ধারণাটি ভুল। শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা, যেকোনো ঋতুতেই ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হতে পারে। শীতের শুরুতেই আমাদের নানা ধরণের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। কারো ত্বক বা কারো চুলে সমস্যা। কারও আবার স্বাস্থ্যের সমস্যাও দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা। তবে শীতকালে পানিশূন্যতা হতে পারে, এ নিয়ে খুব কমসংখ্যক মানুষই অবগত।

শীতকালেও যেসব কারণে হতে পারে পানিশূন্যতা -

ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের শরীর কম ঘামায়। যার ফলে পানি পানের পরিমাণও কমে যায়। আর এ কম পানি পানের অভ্যাস থেকেই পানিশূন্যতার ঝুঁকি দেখা দেয়। বোল্ড স্কাইয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

এ সমস্যাটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। তা না হলে এটি অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। কিডনি রোগ, হার্টের সমস্যাসহ ছোট ছোট নানা ধরনের রোগ রয়েছে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। 

চলুন শীতকালে পানিশূন্যতার লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

শীতকালে শরীরে পানির অভাব হলে মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। অনেক সময় মাথাব্যথাও হতে পারে। একই সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যাবে, এর রং গাঢ় হলুদ হবে। পানির অভাব পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত পরতে পারে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যও মত রোগও হতে পারে।

পানিশূন্যতা এড়াতে করণীয় 

শীতেও অন্যসব ঋতুর মতো সারাদিন প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এ জন্য সঙ্গে একটি পানির বোতল রাখতে পারেন। প্রয়োজনে একটু গরম পানি রাখতে পারেন। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণ ফল ও সবজি রাখতে হবে। এতে শরীরে তরল খাদ্য উপাদান প্রবেশ করবে। যেমন শসা, তরমুজ, কমলা, গাজরের মতো ফল ও সবজি খেতে পারেন।

লবণ বেশি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা থেকেও পানিশূন্যতা হতে পারে। এ জন্য লবণ খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে বা পরিমাণে কম খেতে পারেন। এতে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গরম চা, কফি ও স্যুপ ইত্যাদি পান করতে পারেন। এসব আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে। তবে এতে বেশি চিনি যোগ করা যাবে না। এছাড়া যদি অন্য কোনো স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থাকে যেমন ডায়াবেটিস, তাহলে পানিশূন্যতার ঝুঁকি বেশি থাকবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

Read Entire Article