শীতে কাঁপছে সারাদেশ, বইছে শৈত্যপ্রবাহ

সারা দেশে শীত জেঁকে বসেছে। যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, যা আজ শনিবারও (২৭ ডিসেম্বর) অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা এবং কুয়াশার প্রকোপ।  বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এতে উড়োজাহাজ চলাচল, নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ওপর শীতের প্রভাব বাড়ার পেছনে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের ভূমিকা রয়েছে। শীতের এই আকস্মিক প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ। হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে জনজীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ছেদ পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ, নিম্নআয়ের শ্রমজীবী ও ভাসমান জনগোষ্ঠী পড়েছেন চরম কষ্টে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গত পাঁচ দিন ধরে শীতের অনুভূতি বেড়েছে মূলত তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার কারণে। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা প্রায় ৮ ডিগ্রি

শীতে কাঁপছে সারাদেশ, বইছে শৈত্যপ্রবাহ

সারা দেশে শীত জেঁকে বসেছে। যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, যা আজ শনিবারও (২৭ ডিসেম্বর) অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা এবং কুয়াশার প্রকোপ। 

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এতে উড়োজাহাজ চলাচল, নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ওপর শীতের প্রভাব বাড়ার পেছনে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের ভূমিকা রয়েছে।

শীতের এই আকস্মিক প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ। হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে জনজীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ছেদ পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ, নিম্নআয়ের শ্রমজীবী ও ভাসমান জনগোষ্ঠী পড়েছেন চরম কষ্টে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গত পাঁচ দিন ধরে শীতের অনুভূতি বেড়েছে মূলত তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার কারণে। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা প্রায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। ঢাকায় চলতি শীতে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে প্রায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

শুক্রবার দেশের অন্তত দুই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে, যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

দেশে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা বিভাগের যশোরেও তাপমাত্রা নেমেছে একই ঘরে।

ঢাকা বিভাগে ঢাকার পাশাপাশি টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ফরিদপুরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশপাশে নেমেছে। রাজশাহী বিভাগে রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা ও নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এসব এলাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের অনুভূতি রয়েছে।

রংপুর বিভাগে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে তীব্র। তেঁতুলিয়ার পাশাপাশি দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে অবস্থান করছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় তাপমাত্রা প্রায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে নেমেছে প্রায় ১২ ডিগ্রিতে। খুলনা বিভাগে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে। বরিশালে তাপমাত্রা রয়েছে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী ও কক্সবাজারে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকলেও পাহাড়ি এলাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow