শীতের আগেই এসির আউটডোরে যেসব কাজ করবেন

5 hours ago 3

শুধু গরমে স্বস্তি পেতে নয় বর্ষায় ঘরেরে আর্দ্রতা ঠিক রাখতে এসি ব্যবহার করেন সবাই। শীত প্রায় দোর গোড়ায়। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসি সবারই বন্ধ থাকে। তিন-চার মাস বন্ধ থাকবে এসি। তারপর এসি চালিয়ে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আগেই কয়েকটি কাজ করতে পারেন। এতে দীর্ঘদিন এসি বন্ধ থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।

বিশেষ করে এসির আউটডোরের কিছু যত্ন নিতেই হবে। এসি সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে রয়েছে-কনপ্রেসার, ইউনিটে রেফ্রিজারেন্ট পাম্প করে। এছাড়া কনডেন্সার কয়েলসও গুরুত্বপূর্ণ, এটা তাপ বের করে দেয়। আবার ইভাপোরেটর কয়েলস ভিতরের বাতাসকে ঠান্ডা করে। এই অংশগুলো অ্যালুমিনিয়াম বা গ্যালভানাইজড স্টিলের মতো অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান দিয়ে তৈরি। ঠান্ডা এবং মরচের হাত থেকে রক্ষা করে।

শীতের সময়টা এসি ঢেকে রাখুন। ধুলা-বালির হাত থেকে বাঁচাতেই এসির ইন্ডোর এবং আউটডোর ঢেকে রাখা হয়। এটাই মূল কারণ। যাতে ময়লা পড়ে মেশিন খারাপ না হয়ে যায়। কার্যক্ষমতা একই রকম থাকে। কিন্তু ঢেকে রেখে লাভের লাভ কিছু হয় না। বিশেষ করে আউটডোর ইউনিট।

স্বাভাবিকভাবেই এসির আউটডোর ইউনিট ঢেকে রাখলে উপকার হবে বলেই মনে হতে পারে। কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, এর ফলে আর্দ্রতা বের হতে পারবে না। জমতে থাকবে। ফলে মরচে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এছাড়াও এসি কাভার ইঁদুর ও পোকামাকড়ের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে। আর ইঁদুর বাসা বাঁধলে সবার আগে যাবে তার। অন্যান্য অংশেরও ক্ষতি হতে পারে।

বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারেন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে এসি ইউনিট ঢেকে না রেখে বিকল্প কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সেগুলো হলো-সবার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। এর সঙ্গে চাই নিয়মিত দেখভাল। অর্থাৎ পরিস্কার করতে হবে। পাতা বা ধুলো ময়লা পড়লে ঝেড়ে দেওয়াই উচিত। বাইরের অংশে সুরক্ষামূলক শিল্ড লাগানো যায়। যাতে সরাসরি হাত দেওয়া না যায়। আর নিয়মিত সার্ভিসিং তো অবশ্যই করাতে হবে।

সূত্র: নিউজ১৮

কেএসকে/এএসএম

Read Entire Article