শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ৮ দিনের রিমান্ডে

4 months ago 14

অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীর (৬১) আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়াও তার অপর তিন সহযোগীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তারা হলেন- আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) এবং মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন সব আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ। তবে আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দিকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতেন। সুব্রত বাইন তৎকালীন খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা পেয়ে সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের এক বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে। পরে হাতিরঝিল থানার নতুন রাস্তা এলাকা থেকে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে মামলার আসামিদের এ মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের আরও অনেক সহযোগীকে গ্রেফতার এবং আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হতে পারে। তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হতে পারেন। তাই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন, বলা হয় রিমান্ড আবেদনে।

এমআইএন/কেএসআর/এএসএম

Read Entire Article