শুধু এনআইডি নয়, পাসপোর্টেও প্রবাসীদের ভোটাধিকার চায় বিএনপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে বিদেশে অবস্থানরত ৩১ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে প্রবাসীরা এই নিবন্ধন করছেন। অনেক প্রবাসীর কাছে এনআইডি নেই কিন্তু পাসপোর্ট সবার কাছে আছে। তাই এনআইডির পাশাপাশি প্রবাসীরা যেন পাসপোর্ট দিয়েও ভোট দিতে পারেন সেই দাবি জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এমএএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রবাসীদের অনেকেরই এনআইডি নেই। বাস্তব কারণে বেশিরভাগই এনআইডি করতে পারেননি এবং সব দেশেই নতুন এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা প্রস্তাব করেছি,বাংলাদেশি পাসপোর্টকেও পরিচয়পত্র হিসেবে ধরে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদিও আমরা জানি, অনেক ফেক পাসপোর্ট আছে—যারা বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন মানুষও পূর্ববর্তী সরকারের আমলে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। আমরা চাই না তারা ভোটার হন। এ জন্য আমরা বলেছি—পাসপোর্ট যাচাই-
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে বিদেশে অবস্থানরত ৩১ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে প্রবাসীরা এই নিবন্ধন করছেন। অনেক প্রবাসীর কাছে এনআইডি নেই কিন্তু পাসপোর্ট সবার কাছে আছে। তাই এনআইডির পাশাপাশি প্রবাসীরা যেন পাসপোর্ট দিয়েও ভোট দিতে পারেন সেই দাবি জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এমএএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রবাসীদের অনেকেরই এনআইডি নেই। বাস্তব কারণে বেশিরভাগই এনআইডি করতে পারেননি এবং সব দেশেই নতুন এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা প্রস্তাব করেছি,
বাংলাদেশি পাসপোর্টকেও পরিচয়পত্র হিসেবে ধরে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদিও আমরা জানি, অনেক ফেক পাসপোর্ট আছে—যারা বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন মানুষও পূর্ববর্তী সরকারের আমলে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। আমরা চাই না তারা ভোটার হন। এ জন্য আমরা বলেছি—পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করা হোক। পাসপোর্টের ছবি পাঠিয়ে গ্রামের ঠিকানা থেকে ভেরিফিকেশন করলে যদি সঠিক পাওয়া যায়, তাহলে তাকে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশন সম্মত হয়েছে এবং বলেছে, সময় কম হলেও বিষয়টি তারা বিবেচনায় নেবেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গত ১৯ তারিখ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি আমরা বিএনপিই সবার আগে তুলেছিলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’, বিএনপির ২৭ দফা কর্মসূচি এবং বিভিন্ন দলের সঙ্গে ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যেও এই দাবি ছিল। তখন অন্য কারও পক্ষ থেকে এমন দাবি তোলা হয়নি। নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু যাদের এনআইডি আছে তাদের নয়—নতুন করে এনআইডি প্রদানের জন্যও বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানো হয়েছে, যা কার্যকর উদ্যোগ বলে আমরা মনে করি। এজন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, যেসব দেশে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা অনেক বেশি, যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত—সেখানে অনেকেই বসবাস করেন। দূরবর্তী অঞ্চলে যেখানে নিবন্ধন করা কঠিন। তাই আমরা অনুরোধ করেছি, এসব দেশে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হোক, যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি ভোটার হতে পারেন। নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের সিডিউলে এক ধরনের সুযোগ আছে—নিবন্ধন থেকে যারা বাদ পড়বে, তাদের জন্য অতিরিক্ত নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হবে। আমরা এটাকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখছি।
সুষ্ঠভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন বিএনপির সহযোগীতা চেয়েছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা তাতে সম্মতি জানিয়েছি। কারণ এই নির্বাচনের জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ১৬ বছরের লড়াই করে বহু মানুষ নিহত, লাখ লাখ নেতাকর্মী কারাবরণ করেছেন।
গণভোট নিয়েও আলোচনা হয়েছে কি? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মতে এটি নতুন কিছু নয়। গণভোট আইন আজ পাস হয়েছে, তাই নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো বিতর্ক নেই।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নিচ্ছি—যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিবন্ধনে উৎসাহিত হন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেও নির্দেশনা দিয়েছেন—দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদের অংশগ্রহণ জরুরি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য লটারির মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) চূড়ান্ত করেছে সরকার। এই প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল এটা দাবি করেছিল, বদলি যেন লটারির মাধ্যমে করা হয়। আমার বিবেচনা হলো, এখানে আপনারা সবাই সাংবাদিক, কিন্তু কাউকে নির্বাচন বিটে, কাউকে ডিপলোমেটিক, কাউকে ক্রাইম বিট, কাউকে বিনোদন বিট, কাউকে স্পোর্টস বিটে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সবাই একই রকম তার পরও কারোর বিশেষ বিশেষ যোগ্যতা থাকে। লটারির মাধ্যমে আপনাদের পত্রিকার মালিক বা সম্পাদক যদি দায়িত্ব বন্টন করে তাহলে ভালো হবে খুব?
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লা, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া।
এমওএস/এমএমকে/এমএস
What's Your Reaction?