শেখ হাসিনা ও কামালের আপিল করার সুযোগ নিয়ে যা জানা গেল

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড চালানোর অপরাধে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বর্তমানে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনই পলাতক রয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল তাদের দণ্ডের বিপরীতে আপিল করেত পারবেন কি না? তবে পলাতক থাকায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামাল চাইলে আপিল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইন সংশ্লিষ্টরা।   ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা আছে, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। তবে আপিলের সুযোগ নিতে হলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে, অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হতে হবে। মামলা-সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, এ অবস্থায় আপিলের সুযোগ নিতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে দেশে ফিরতে হবে। আদালতে হাজির হয়ে কিংবা গ্রেপ্তার হলে তবেই আপিলের সুযোগ মিলবে তাদের। অন্যদিকে ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ চাইলেও আপিল বিভাগে যেতে পারবে। এদিকে রায়ের পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই আসামিকে হস্তান্তরে ভারতের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলা

শেখ হাসিনা ও কামালের আপিল করার সুযোগ নিয়ে যা জানা গেল

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড চালানোর অপরাধে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বর্তমানে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনই পলাতক রয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল তাদের দণ্ডের বিপরীতে আপিল করেত পারবেন কি না?

তবে পলাতক থাকায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামাল চাইলে আপিল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইন সংশ্লিষ্টরা।
 
ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা আছে, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। তবে আপিলের সুযোগ নিতে হলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে, অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হতে হবে।

মামলা-সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, এ অবস্থায় আপিলের সুযোগ নিতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে দেশে ফিরতে হবে। আদালতে হাজির হয়ে কিংবা গ্রেপ্তার হলে তবেই আপিলের সুযোগ মিলবে তাদের। অন্যদিকে ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ চাইলেও আপিল বিভাগে যেতে পারবে।

এদিকে রায়ের পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই আসামিকে হস্তান্তরে ভারতের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। 

অন্যদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ড নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারত বাংলাদেশের ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ কর্তৃক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে ঘোষিত রায়টি সম্পর্কে অবগত আছে। নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে সেই দেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতা অন্তর্ভুক্ত। আমরা এ লক্ষ্যে সর্বদা সব অংশীদারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব।

এর আগে সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির আদেশ দেন। মামলার দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। তবে এক নম্বর অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচনে সহায়তা করায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow