শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন, ক্ষমা চাইল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম

1 month ago 9

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ক্ষমা চেয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এনই। আন্দোলনের মধ্যে রোববার (২১ জুলাই) সংবাদমাধ্যমটি তাদের ওয়েবসাইটে ‘ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টস ফ্লি ঢাকা অ্যামিড ভায়োলেন্ট ক্ল্যাশেস, পিএম শেখ হাসিনা এয়ারলিফটেড’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে।

শিরোনামটির বাংলা করলে দাঁড়ায়, বিভিন্ন প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে, বাংলাদেশে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ঢাকা ছাড়ছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনটি অনলাইনের পাশাপাশি ইন্ডিয়া টুডে এনই’র এক্স অ্যাকাউন্টেও পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, বিভিন্ন প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ঢাকার বাসভবন থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার বর্তমান অবস্থান এখনো অজানা।

ভিত্তিহীন এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই-কমিশন ইন্ডিয়া টুডে এনই-কে একটি চিঠি পাঠিয়ে তীব্র আপত্তি ও প্রতিবাদ জানায়। চিঠিতে লেখা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে নিয়ে ইন্ডিয়া টুডে এনই’র করা একটি ভুল সংবাদ ও এক্স পোস্ট অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়েছিল। এই সংবাদ দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশ হাইকমিশন ওই ভ্রান্ত সংবাদ ও পোস্টে ব্যাপক হতাশ হয়েছে।

‘যেকোনো দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গুজবের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের ভুল তথ্য ও প্রতিবেদন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এমনকি সংকট আরও বাড়াতে ইন্ধন দেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতিকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে। সংবেদনশীলতা পরিমাপ না করে এই ধরণের প্রতিবেদন কেবল জনগণ ও সমাজকেই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে না, যে কোনো সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

বাংলাদেশ হাই-কমিশনের চিঠি পাওয়ার পরপরই ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে ইন্ডিয়া টুডে এনই। সংবাদমাধ্যমটি তাদের ওয়েবসাইটে লেখে, ইন্ডিয়া টুডে এনই এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। প্রতিবেশী দেশে বিভ্রান্তি বা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এমন সংবাদ প্রকাশের জন্য আমরা দুঃখিত।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে এনই

এসএএইচ

Read Entire Article