শেখ হাসিনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ কথা বলার সুযোগ দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপরে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একটি গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ভারত তাকে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় দিয়েছে সেটা দিতে পারে। কিন্তু তাকে ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া যে, সে বলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। পাশের দেশে থেকে ওনি উসকানি দিচ্ছেন, একটা অরাজকতা তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তাকে সাপোর্ট করছে ভারতের পলিসিমেকাররা। এটা অদ্ভুত ব্যাপার।
এটা তো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ, ভয়ংকর রকমের হস্তক্ষেপ। এটা একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ওপরে আরেকটি রাষ্ট্রের এরকম অবস্থান- এটা তো চরমভাবে আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি সব কিছু লঙ্ঘন করে এ কাজটা করছে।
রিজভী বলেন, আমার অবাক লাগে যে, ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন নির্লজ্জের মতো ওখানকার মিডিয়া, কিছু সাংবাদিক সেই এক ধরনের বয়ান তৈরি করছে। শেখ হাসিনা যেমনটি করেছেন, সেই ফ্যাসিস্টদের পক্ষ অবলম্বন করে এ বয়ান তৈরি করছে। তাতে মনে হচ্ছে যে, অনেক দিনের গুপ্তধন তারা যেটা সঞ্চয় করেছে সেই গুপ্তধন যেন হাতছাড়া হয়ে গেছে।
আজকে গণতন্ত্রের পথরেখা অনুযায়ী গণতন্ত্রের চর্চা-অনুশীলন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যে বিকাশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এটা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না শুধু শেখ হাসিনাই নয়, ভারতের পলিসি মেকাররাও। এটা কেন? একটি গণতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে তো এটা আমরা আশা করতে পারি না।
প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, তাদের (ভারতের) কেউ কেউ খাপছাড়া টাইপের কিছু মানুষ তারা বলছেন যে, বাংলাদেশ আর থাকবে না। পার্শ্ববর্তী একটি স্বাধীন দেশ সেটা থাকবে না সে কথাটা এলাউ করছে কি করে ভারতের নীতিনির্ধারকরা?