শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত ও পলাতক আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে এনসিএসএ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ) অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, দেশে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে। প্রচারিত এসব বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরাসরি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সৃষ্টির আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর নিয়মাবলির পরিপন্থি। বিশেষত, অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)।

একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত ও পলাতক আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে এনসিএসএ।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ) অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, দেশে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে। প্রচারিত এসব বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরাসরি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সৃষ্টির আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর নিয়মাবলির পরিপন্থি। বিশেষত, অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্য, যেগুলো দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, জাতিগত/ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় কিংবা সহিংসতার আহ্বান জানায়, সেসব তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

আরও স্পষ্টভাবে, অধ্যাদেশের ধারা ২৬ (১) অনুযায়ী, ‘ছদ্ম পরিচয়’ বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে যদি কেউ ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনাকারী বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তা অপরাধ এবং দণ্ডনীয়। ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী, অপরাধীদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং/অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে।

এনসিএসএ সাংবাদিকতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অপরাধমূলক, উসকানিমূলক বা আহ্বানমূলক যে কোনো বিবৃতি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে এবং আইনি দায়বদ্ধতা বিবেচনায় রাখতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এএএইচ/ইএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow