জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এই সাক্ষ্য গ্রহণের কথা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পলাতক শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে আংশিক জবানবন্দি দেন নাহিদ ইসলাম।
জবানবন্দীতে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সারা দেশে যে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছিল, তা ছিল পরিকল্পিত ও রাষ্ট্রীয়ভাবে।
বুধবার প্রথম দিনের জবানবন্দি শেষে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী জবানবন্দির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন।
- আরও পড়ুন
- ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় শিক্ষার্থীরা অপমানিত বোধ করেছিলেন
- সাধারণ কোর্টের মামলা নিয়ে ইতিবাচক কিছু শুনছি না: নাহিদ ইসলাম
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
পরে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ৪৭তম সাক্ষী নাহিদ ইসলাম আন্দোলনের এক নম্বর সমন্বয়ক। তিনি তার জবানবন্দি আংশিক দিয়েছেন। জবানবন্দির শুরুতে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের বর্ণনা দিয়েছেন।
তারপর বিভিন্ন ঘটনার বর্ণণা দিয়ে ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনের বর্ণনা শুরু করেছেন, যার কিছু অংশ তথা ১৯ জুলাইয়ের কিছু অংশ পর্যন্ত বর্ণনা দিয়েছেন।
এর আগে গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ৩ আগস্ট থেকে শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সাক্ষা গ্রহণ শুরু হয়।
এফএইচ/এনএইচআর/জিকেএস