শেখ হাসিনার মামলার রায়ের কপি এখনো পায়নি প্রসিকিউশন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কপি এখনো পায়নি প্রসিকিউশন বা রাষ্ট্রপক্ষ। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। রায়ের কপি পেয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমাদের হাতে এখনো আসেনি।’ ট্রাইব্যুনাল-১ গত সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয় বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মামলার রায়ের কপি প্রসিকিউশন, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সাবেক আইজিপি মামুনকে দেওয়া তাদের দায়িত্ব। এখন রায়ের কপি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। দ্রুতই তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কপি পাঠাবে। এদিকে, মামলার বিচার অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে হয়েছে বলে যে প্রশ্ন উঠেছে এর জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল বলেন, ‘এই অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই (১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কপি এখনো পায়নি প্রসিকিউশন বা রাষ্ট্রপক্ষ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। রায়ের কপি পেয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমাদের হাতে এখনো আসেনি।’
ট্রাইব্যুনাল-১ গত সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয় বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মামলার রায়ের কপি প্রসিকিউশন, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সাবেক আইজিপি মামুনকে দেওয়া তাদের দায়িত্ব। এখন রায়ের কপি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। দ্রুতই তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কপি পাঠাবে।
এদিকে, মামলার বিচার অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে হয়েছে বলে যে প্রশ্ন উঠেছে এর জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল বলেন, ‘এই অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই (১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত) মাসে। এখন ২০২৫ সালের নভেম্বর মাস। ১৪ মাসের বিচার যদি খুব দ্রুত হয়ে থাকে, তাহলে বলার কিছু নেই।’
একটি মানবাধিকার সংস্থা বলছে যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল যথাযথ আইনি সহায়তা পাননি। তাদের পছন্দের আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর জবাবে প্রসিকিউটর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ সালে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এ ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালে স্থাপিত। স্থাপনের আগেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এ আইনের একটি সংশোধনী আনে। সংশোধনীতে অনুপস্থিতিতে বিচারের বিধান যুক্ত করে। কাজেই এ বিধান ওই সময়কার সরকারের প্রবর্তিত। এটা নতুন সরকার প্রবর্তন করেনি। এর দায়দায়িত্ব এ সরকারের নয়। এ সরকার ও প্রসিকিউশন আইনটাকে ফলো করে। আর পছন্দের আইনজীবী নিয়োগ করার জন্য প্রয়োজন আসামির উপস্থিতি। আসামি আইনের আশ্রয়ে নেই। ফলে তিনি তার পছন্দের ব্যক্তিকে আইনজীবী নিয়োগ করার কোনো অধিকার রাখেন না।’
পছন্দের আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে উল্টো প্রশ্ন করে প্রসিকিউটর মিজানুল বলেন, ‘তাদের ভাষায় যারা পছন্দের আইনজীবী বা যোগ্য আইনজীবী, এমন পাঁচজন ব্যক্তি যদি এসে বলেন যে তার আইনজীবী, তাহলে ট্রাইব্যুনাল কাকে নিয়োগ দেবেন?’
এফএইচ/একিউএফ
What's Your Reaction?