শেষ মুহূর্তে প্রতিমা রাঙাতে ব্যস্ত শিল্পীরা

1 hour ago 4

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। শুভ মহালয়ায় দেবীর আবাহন শেষে মন্ডবে মন্ডবে চলছে দেবী বরণের প্রস্তুতি। মাগুরায় পূজাকে ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ শেষ রং ও তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিশিল্পীরা।

দুর্গোৎসবে দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে সাজসজ্জায় নানা উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্দিরে চলছে থিমভিত্তিক সাজসজ্জার কাজ। সারাদেশে বইছে উৎসবের আমেজ। সায়ংকালে ধূপের ধোঁয়া, ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি আর কাঁসর-মন্দিরার সঙ্গে ভক্তিমন্ত্রে মেতে ওঠার অপেক্ষায় পূজামণ্ডপ।

রংতুলির কাজে দেবী দূর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ ফুটিয়ে তোলায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। তাদের নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাবেন দেবী দুর্গা, শিব, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অশুর সহ অন্যান্য প্রতিমা। কোনো কোনো প্রতিমায় পরানো হচ্ছে শাড়ি, হাতের বালা সহ নানান গহনা।

এবছর মাগুরার চারটি উপজেলায় মোট ৬১৫ টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসব। ২ অক্টোবর মহাদশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্তি হবে।

শেষ মুহূর্তে প্রতিমা রাঙাতে ব্যস্ত শিল্পীরা

মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর যুগ্ম আহ্বায়ক বিধান কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, এবছর পূজার সংখ্যা বেড়ে গেছে। অতীতের তুলনায় এবার আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন হবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সব ধরনের সহায়তা করছে। আশা করি মাগুরায় পূজা ঘিরে কোনো আপত্তিকর ঘটনা ঘটবে না। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:

মণ্ডপে উৎসবের আমেজ, প্রতিমার সাজসজ্জায় ব্যস্ত শিল্পীরা

মাগুরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার মাগুরায় প্রায় ৬১৫টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গাপূজায় যেন যথাযথ আনন্দ এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সমাপন করা যায় এজন্য জেলা পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জেলা পুলিশের এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হয়েছে, যেন প্রত্যেকটা মন্দির সিসি ক্যামেরার আওতায় এবং তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের নিয়মিত ডিউটি, বিশেষ তল্লাশি অভিযান এবং বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/এনএইচআর/এমএস

Read Entire Article