ফিফা র্যাংকিংয়ের ৬ নম্বর দল গর্তুগাল বনাম ৫৭ নম্বর দল স্লোভেনিয়ার খেলা। কিন্তু আজ স্লোভেনিয়ার কাছে যেন সেসব হিসাব একেবারে তুচ্ছ। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ক্রিশ্চিয়ানোর রোনালদোর পর্তুগালের বুক মাটিতে লাগিয়ে দিয়েছে স্লোভেনিয়া।
খেলার মূল সময়ে গোলশূন্য ড্র করে দুই দল। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১২০ মিনিটের খেলায়ও পর্তুগালকে কোনো গোল করতে দেয়নি স্লোভেনিয়া। এমনকি অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে রোনালদোর পেনাল্টি শটও রুখে দিয়েছেন গোলরক্ষক জান ওবলাক। ম্যাচের ফলাফল বের করে আনতে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
সেখানে আর অভিজ্ঞ পর্তুগালের সঙ্গে পেরে উঠেনি স্লোভেনিয়া। বড় দল বলে যে একটা কথা আছে, সেটি টাইব্রেকারে এসে প্রমাণ করলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। এই পর্যায়ে স্লোভেনিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে পর্তুগাল।
ফ্রাঙ্কফুট অ্যারেনায় শুরু থেকেই স্লোভেনিয়ার উপর চাপ বাড়াতে থাকে পর্তুগাল। ৫ম মিনিটে পর্তুগালের পক্ষে প্রথম আক্রমণ নিয়ে যান রুবেন দিয়াজ। এরপর ৩১ মিনিটে জাও ক্যানচেলোর ক্রস থেকে রোনালদোর দুর্দান্ত একটি হেড রুখে দেন স্লোভেনিয়ার ডিফেন্ডাররা।
৩৪ মিনিটে গোল করার সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি করে পর্তুগাল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে রোনালদোর ফ্রি-কিক গোলবার ঘেঁষে বাইরে দিয়ে চলে যায়। গোল না পাওয়ার হতাশায় কাতরাতে দেখা যায় রোনালদোকে। ৪ মিনিট পর আবারও আক্রমণে যায় আল নাসর তারকা। জটিল অ্যাঙ্গেল থেকে রোনালদোর ডান পায়ের একটি শট বাইরে দিয়ে চলে যায়।
৪৪ মিনিটে বিপদে ফেলতে বসেছিল স্লোভেনিয়া। বেঞ্জামিন সেসকোর ডান পায়ের দুর্দান্ত শট রুখে দেন পর্তুগালের গোলরক্ষক দিয়াগো কস্তা। ১ মিনিট পর আবারও আক্রমণ স্লোভেনিয়ার। এবার জাকা বিজোলের শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধের ইনজুুরি সময়ে জাও পালহিনহার একটি শট গোলবারে লেগে ফিরে আসে। তাকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন রাফায়েল লিও। শেষ পর্যন্ত কোনো গোল না পেয়েই বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রি-কিক নেন রোনালদো। এবার তিনি ব্যর্থ। তার ডান পায়ের দ্রুতগতির শট রুখে দেন গোলরক্ষক ওবলাক। ৫৯ ও ৬১ মিনিটে দুই আক্রমণ করে স্লোভেনিয়া। দুইবারই বল চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে।
৭২ মিনিটে তৃতীয়বারের মতো ব্যর্থ ফ্রি-কিক নেন রোনালদো। ৮৯ মিনিটে আল নাসর তারকার আরও হতাশার একটি ফ্রি-কিক। এক ম্যাচে ৪ বার ফ্রি-কিক নিয়ে সফল হতে পারেননি রোনালদো। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
৯২ মিনিটে স্লোভেনিয়ার আক্রমণের পর পাল্টা আক্রমণ করে পর্তুগাল। ৯৬ মিনিটে স্লোভেনিয়ার আরও একটি আক্রমণ ব্যর্থ। ১০০ মিনিটে পর্তুগালের দিয়াগো জোতোর একটি হেড রুখে দেন গোলরক্ষক।
১০৫ মিনিটে পেপের কাছ আচমকা বল দখলে নিয়ে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল স্লোভেনিয়া। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন জান সিলার। ১২০ মিনিটে ব্রনো ফার্নান্দেজের ক্রস হেড করে ব্যর্থ হন রোনালদো।
এমএইচ/