শ্যাম্পু ছাড়া গোসল করে না ১৫ মণের সুলতান
সুলতান নাম তার। অপরিচিত কেউ পাশে গেলে তেড়ে আসে, ভয়ে কেউ যেতে পারে না সুলতানের কাছে। তবে তার মালিক বেবি খাতুন পাশে এলেই শান্ত হয়ে যায় সুলতান। বেবি খাতুন তিন বছর ধরে পরম যত্নে লালন-পালন করছেন বিশাল আকৃতির গরুটিকে। তাই আদর করে গরুটির নাম দিয়েছেন সুলতান। কিন্তু বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টির ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য সুলতানকে প্রস্তুত করেছে বেবি খাতুন। সুলতানের ওজন প্রায় ১৫ মণ। মালিক তার দাম হাঁকিয়েছেন দশ লাখ টাকা।
বেবি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুবনী গ্রামের অরিদ আলীর স্ত্রী। নিজ বাড়িতে সুলতানের পাশাপাশি ফ্রিজিয়ান জাতের ৬টি গরু নিয়ে ছোট্ট একটি খামার করেছে বেবি খাতুন। এর মধ্যে ৩টি গাভি আছে।
বেবি খাতুন বলেন, সুলতানের দৈনিক ৩৫০ টাকার খবার লাগে। শ্যাম্পু ছাড়া গোসল করে না সে। তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে, ধানের ভুসি, খৈল, গমের ভুসি, ভুট্টা গুঁড়া, কাঁচা ঘাসসহ দানাদার খাবার। সুলতানকে মোটাতাজাকরণের জন্য কোনো এন্টিবায়োটিক ও ইনজেকশন ব্যবহার হয়নি বলে জানান বেবি খাতুন।
বেবির স্বামী অরিদ আলী বলেন, আমি কীটনাশকের ব্যবসা করি। সে জন্য গরুর পেছনে বেশি সময় দিতে পারি না। আমার স্ত্রী প্রায় তিন বছর থেকে সুলতানকে পরম আদর যত্নে লালন-পালন করে বড় করেছে। ঈদুল আজহার জন্য প্রস্তুত করা বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টির ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছি না।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, বেবি একজন সুপরিচিত আদর্শ খামারি। শুরু থেকে আমরা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। তারা আসন্ন ঈদুল আজহার জন্য সুলতান নামে একটি গরু প্রস্তুত করেছে। সুলতানকে যেন তারা ভালো দামে বিক্রি করতে পারে তার জন্য সবধরনের সহোযোগিতা করছি।

2 months ago
34









English (US) ·