জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে মো. রিয়াজ (৩৫) নামে এক শ্রমিক হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ ৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছিল।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থানের শেষ দিন ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন রিয়াজ। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:
- শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিন সাক্ষ্য দেবেন ৫ জন
- শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের জেরা আজ
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার ভাটারা থানাধীন ফরাজী হাসপাতালের সামনে নাঈম হাসান নিলয় নামে ১৯ বছরের এক যুবককে হত্যাচেষ্টার মামলায় একই আদালত নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারার ১০০ ফিট নতুন বাজার এলাকার ফরাজী হাসপাতালের সামনে মিছিল করে ছাত্রজনতা। এসময় আওয়ামী লীগ ও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন নিলয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে গত বছরের ১৪ অক্টোবর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন নিলয়।
এমআইএন/এনএইচআর/এমএস