শ্রীপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ, পুলিশের গাড়িতে আগুন

1 month ago 16

গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পুলিশ। অপরদিকে আন্দোলনকারীরা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া পুলিশের দুটি গাড়িতেও দেওয়া হয় আগুন।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার বেলা ১১টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মাওনা চৌরাস্তার পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে অবস্থান নেন। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাওনা চৌরাস্তার ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নিলে দেখা দেয় উত্তেজনা। কিছু সময় পর ছাত্ররা মিছিল নিয়ে মাওনা ফ্লাইওভার এলাকায় যান। তারা সেখানে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে ছাত্ররা পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে ফিরে যান। এর কিছুসময় পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। এরপর ফের ছাত্ররা মিছিল নিয়ে মাওনা চৌরাস্তায় আসেন। তারা মাওনা হাইওয়ে, গাজীপুর জেলা পুলিশ, শ্রীপুর থানা পুলিশের তিনটি বক্সে ভাঙচুর চালান।

jagonews24

একপর্যায়ে মাওনা-শ্রীপুর সড়কের ‘ভাই ভাই সিটি কমপ্লেক্সে’র সামনে গেলে ছাত্রদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। তাদের ওপর টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ওই কমপ্লেক্সে থাকা পুলিশের দুটি গাড়িসহ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান ও আগুন দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো মাওনা চৌরাস্তার চারপাশে। এসময় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দেয়।

মাওনা পিয়ার আলী ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রাফিউল ইসলাম বলেন, আমাদের ভাইদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো। যাদের হাত আমাদের ভাইদের রক্তে রঞ্জিত তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই।

ডুয়েটের শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত। আমাদের সবগুলো দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।

এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিউল আলম বলেন, পুলিশের গাড়ি ও পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।

এমএআই/জেডএইচ/এমএস

Read Entire Article