ক্রিকেটে ‘উইনিং কম্বিনেশন’ একটা অন্যরকম ‘মোহ’। যে ১১ জনকে নিয়ে জয় ধরা দেয়, জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে সেই ১১জনকেই পরের ম্যাচে রাখা হয়ভ। বলা হয়, এই একাদশ ভাঙ্গা যাবে না। এমন একটা মানসিকতা কাজ করে বেশির ভাগ টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যেই। একাদশ ভাঙতে চায় না বেশিরভাগ টিম ম্যানেজমেন্ট।
আজ এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথমদিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টেরও এমন কোন ‘মোহ’ থাকবে কি? দুইদিন আগে আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া ৮ রানের সংগ্রামী জয়ের পর আজ শনিবার দুবাই স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষেও কী সেই একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে লিটন দাসের দল?
প্রশ্নটি অনেকের মুখে মখে। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই সংস্কার মানেন। বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্টও যদি সংস্কারের বশবর্তী হয়ে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল সাজায়, তাহলে কোন কথা নেই। তবে ক্রিকেটীয় যুক্তি, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ মানলে, আজ শনিবার রাতে দুবাইতে বাংলাদেশ দলে অন্তত একটি পরিবর্তন অতি জরুরি। তাহলো হোক পেসার কিংবা স্পিনার, চারিথ আসালাঙ্কার দলের বিপক্ষে আজ টাইগারদের দলেও চাই একজন স্পেশালিস্ট বোলার।
এখন কে হবে সে স্পেশালিশস্ট বোলার? শেখ মেহেদি নাকি তানজিম সাকিব? সেটাই দেখার।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ছাড়া পথ ছিল না। তাই জিততে মরিয়া টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট প্রথম ম্যাচের পর চার পরিবর্তন করে দল সাজায়। তাতে পেসার তাসকিন, মোস্তাফিজের সাথে বাঁ-হাতি নাসুম ও লেগি রিশাদই ছিলেন চার স্পেশালিস্ট বোলার। পঞ্চম কোন জেনুইন বোলার ছিল না দলে। সেই বোলারের কোটা পূরনের দায়িত্ব ছিল দুই পার্টটাইম অফস্পিনার শামীম পাটোয়ারী (১ ওভারে ০/১৬) ও সাইফ হাসানের ওপর (৩ ওভারে ০/৩৯)।
বাকি চার স্পেশালিস্ট বোলার তাসকিন (৪ ওভারে ২/৩৪), মোস্তাফিজ (৩/২৮), নাসুম ( ২/১১) , রিশাদ ( ২/১৮) মিলে ১৬ ওভারে মাত্র ৯১ রানে ৯ উইকেটের পতন ঘটালেও দুই অনিয়মিত অফস্পিনার সাইফ আর শামীমের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। তাদের বোলিং বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিলেন টিম বাংলাদেশের।
এখন প্রশ্ন উঠেছে আজকেও কি ৪ জেনুইন বোলার নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা? শনিবার দুবাইয়ের তুলনামূলক সহজ ও ব্যাটিং ফ্রেন্ডলিও উইকেটেও কি তাহলে ‘পঞ্চম’ বোলার হিসেবে দেখা যাবে সাইফ, শামীমকে?
জানা গেছে, টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তায়ও সেটা আছে। দুবাইয়ের উইকেটের সর্বশেষ অবস্থা দেখে মাঠে গিয়ে এই অপশন ফাইনাল করা হবে। যদি উইকেটে একটু ঘাস থাকে, ওপরের আবরণ তুলনামূলক ‘হার্ড’ হয়, তাহলে একজন ব্যাটার কমিয়ে পেসার তানজিমস সাকিবকে খেলানো হতে পারে।
আর যদি মনে হয়, উইকেট আবুধাবি ও শারজার মতই একটু স্লো-বোলারদের পক্ষে থাকবে, তাহলে হয়তো অফস্পিনার শেখ মেহেদির খেলার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
পেসার সাকিব কিংবা অফস্পিনার শেখ মেহেদি- যাকেই খেলানো হোক না কেন, দলে একটি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। সে হিসেবে একজন ব্যাটার কমিয়ে একজন বোলারকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
তেমনটা হলে, দেখার বিষয় হলো, ব্যাটার কোটা থেকে বাদ যাবেন কে? সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয় নাকি শামীম পাটোয়ারী? এ তিন ব্যাটারের অন্তত একজনের কপাল পুড়তে পারে আজ। দেখা যাক কে বাদ যান!
এআরবি/আইএইচএস