কিছু ষড়যন্ত্রকারী ও এজেন্সি তারা অন্তবর্তী সরকারের মাঝখানে ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষযক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমিনুল হক।
তিনি বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রত্যাকটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ সুসংগঠিত ও উজ্জীবিত রয়েছে কোন ষড়যন্ত্রকারী বাংলাদেশও দেশের মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর গুলশান থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় আমিনুল হক বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ ও তরুণ প্রজন্ম তারা ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে চায়। মানুষ তার নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চায়। কিন্তু কিছু ষড়যন্ত্রকারী ও এজেন্সি এই অন্তর্বর্তী সরকারের মাঝখানে ঢুকে গেছে। তারা জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ে যড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ভাষা বুঝে দ্রুত সময়ের ভিতরে একটা নির্বাচন দিন।যে নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। সেই জনগণের সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিপূর্ণ ভাবে মেরামত করতে পারবে।
সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবীরা গত ১৭ বছর কোথায় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুশীল সমাজের লোকেরা গত ৫ আগস্টের পরে তাদের চেহারা পাল্টে ফেলেছে। এরা হচ্ছে পতিত আওয়ামী লীগ থেকে আসা নব্য বিএনপি। এই সুশীলরাই এখন বিএনপির লোক দাবি করে। তারা বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে।
গত ১৭ বছর তারা স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কথা বলেছে।
বিএনপি থাকলে দেশে কোনো স্বৈরাচারের সুযোগ নেই উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির বহু নেতাকর্মীদের গুম খুন ও হত্যার স্বীকার হতে হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের চূড়ান্ত সফলতা হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত হয়েছিল।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান। গুলশান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এস এ মামুন এর সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, আফাজ উদ্দিন, শাহ আলম, বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লা, মহানগর সদস্য শফিকুল ইসলাম শাহীন, ডা. এ কে এম কবীর আহম্মেদ রিয়াজ, ফারুক হোসাইন ভূঁইয়া, আলী আকবর আলী, জাহাঙ্গীর মোল্লা, রেজাউর রহমান ফাহিম, নাসির উদ্দিন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, এম এস আহমাদ আলী, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ, শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক কাজী শাহ আলম রাজা, মহিলাদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক নায়েবা ইউসুফ, সদস্যসচিব এ্যাড রুনা লায়লা, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. সালাহ্উদ্দিন আহমেদ, মৎস্যজীবি দল উত্তরের আহবায়ক আমির হোসেন, তাতীদল ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি সামছুন্নাহার বেগম, এ ছাড়াও গুলশান থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাশেদ বিন সোলাইমান শাহাজাদা, ইউসুফ মানিক, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এফ ইসলাম চন্দন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, ভাষাণটেক থানা বিএনপি আহবায়ক কাদির মাহমুদ, দারুসসালাম থানা বিএনপির একেএম নজরুল ইসলাম কোহিনুর, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন তারেক, যুগ্ম আহবায়ক মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, মো. পুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, তুরাগ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবদুল আলী প্রমুখ।