সংকট কাটিয়ে হচ্ছে চমেকের বার্ন ইউনিট

স্থান সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্মাণে জটিলতাসহ নানা সমস্যা-সংকট পেরিয়ে এখন আলোর পথে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। মিলছে সরকারি অর্থের দুই দফা বরাদ্দ। চীন থেকে আসছে নির্মাণসামগ্রী। ফলে এখন ভবনের নির্মাণকাজ চলছে দ্রুত গতিতে। চমেক হাসপাতাল সংলগ্ন গোয়াছিবাগান এলাকায় ২৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন ইউনিট চট্টগ্রাম’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন বার্ন ইউনিটটি নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ দেবে ১০৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৯৫৫ টাকা এবং চীন দেবে ১৭৯ কোটি ৮৩ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ টাকা। ২০২৭ সালের মে মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা। জানা গেছে, চমেক হাসপাতাল ২০১৪ সালে প্রকল্পটির প্রস্তাব দেয়। প্রশাসনিক নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন স্থবির ছিল। ২০১৬ সালে চীনা প্রতিনিধিদল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে। তখন স্থান পছন্দ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ২০২২ সালে চীনা প্রতিনিধিদল একাধিকবার স্থান পরিদর্শন করে গোয়াছি বাগান এলাকাটি পছন্দ করে। কিন্তু সেখানে কাজ শুরু করলে পরিবেশ কর্মীরা পাহাড়া কাটার অভিযোগ করেন। এরপর সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পাহাড় না কাটার নিশ্চয়তা দিয়ে

সংকট কাটিয়ে হচ্ছে চমেকের বার্ন ইউনিট
স্থান সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্মাণে জটিলতাসহ নানা সমস্যা-সংকট পেরিয়ে এখন আলোর পথে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। মিলছে সরকারি অর্থের দুই দফা বরাদ্দ। চীন থেকে আসছে নির্মাণসামগ্রী। ফলে এখন ভবনের নির্মাণকাজ চলছে দ্রুত গতিতে। চমেক হাসপাতাল সংলগ্ন গোয়াছিবাগান এলাকায় ২৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন ইউনিট চট্টগ্রাম’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন বার্ন ইউনিটটি নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ দেবে ১০৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৯৫৫ টাকা এবং চীন দেবে ১৭৯ কোটি ৮৩ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ টাকা। ২০২৭ সালের মে মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা। জানা গেছে, চমেক হাসপাতাল ২০১৪ সালে প্রকল্পটির প্রস্তাব দেয়। প্রশাসনিক নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন স্থবির ছিল। ২০১৬ সালে চীনা প্রতিনিধিদল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে। তখন স্থান পছন্দ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ২০২২ সালে চীনা প্রতিনিধিদল একাধিকবার স্থান পরিদর্শন করে গোয়াছি বাগান এলাকাটি পছন্দ করে। কিন্তু সেখানে কাজ শুরু করলে পরিবেশ কর্মীরা পাহাড়া কাটার অভিযোগ করেন। এরপর সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পাহাড় না কাটার নিশ্চয়তা দিয়ে শুরু হয় নির্মাণকাজ। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আবারও স্থবির হয়ে পড়ে কাজ। তবে এখন সব সমস্যা-সংকট পেরিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে কাজ। এরই মধ্যে পাওয়া গেছে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থের দুই কিস্তি। চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রকল্প পরিচালক ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, বার্ন ইউনিট নির্মাণ নিয়ে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে এখন দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। মিলছে প্রকল্পের দুই কিস্তির টাকা। চীন থেকে বন্দরে চলে আসছে প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী। সামগ্রীগুলো ছাড়াতে কাস্টমসে যাবতীয় ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়েছে। কাজ এগিয়ে নিতে এখন আর কোনো বাধা নেই। এটি নির্মিত হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ এর সুফল পাবেন। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিটে থাকবে শিশুদের জন্য পাঁচটিসহ ২০টি বার্ন আইসিইউ বেড, ২৫টি এইচডিইউ বেড এবং তিনটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। রোগী আসা-যাওয়ার সুবিধায় থাকবে তিনটি রাস্তা। ছয়তলা বিশিষ্ট ইউনিটের প্রথম তলায় থাকবে জরুরি ওয়ার্ড এবং ওপিডি, দোতলায় তিনটি অপারেশন থিয়েটার ও আইসিইউ, চারতলায় হাইডিপেন্সি  ইউনিট (এইচইউ), চার ও পাঁচতলায় থাকবে সাধারণ ওয়ার্ড এবং ছয়তলায় ওয়ার্ডের সঙ্গে থাকবে কার্যালয়। বার্ন ইউনিট পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ১ হাজার ৬৫ জন জনবলের প্রস্তাবনা গত বছরের মে মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রতিনিয়তই শয্যার বাইরে মেঝেতে রোগী রাখা হয়। গড়ে ভর্তি থাকে ৭০-৭৫ জন। প্রতিদিন নতুন রোগী আসে ১৫ জনের মতো। আগুন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণসহ নানা কারণে দগ্ধ রোগী বাড়ছে। কিন্তু ওয়ার্ডে নেই আইসিইউ শয্যাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। ফলে দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে হয় ঢাকায়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow