সংসদ ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুটিন চার্নভিরাকুল। এ জন্য তিনি সংসদ ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, যা পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনের পথ খুলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আনুটিন সংসদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন রাজার কাছে জমা দিয়েছেন। শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজা মহা বাজিরালংকর্ন ওই ডিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছেন বলে সরকারি রয়্যাল গেজেটে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগাম নির্বাচনের পথ তৈরি হয়েছে, যা আইন অনুযায়ী এখন ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে। সরকারের মুখপাত্র সিরিপং আঙকাসাকুলকিয়াত বলেন, সংসদে বৃহত্তম বিরোধী দল পিপলস পার্টির সঙ্গে বিরোধের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সংসদে অগ্রসর হতে পারছি না—এই কারণেই এটা ঘটেছে। তিনি বর্ণনা করেন যে একটি আইনগত অচলাবস্থা সরকারের কার্যক্রমকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এই রাজনৈতিক অচলাবস্থা এমন সময়ে ঘটছে যখন থাইল্যান্ড পরপর চার দিন কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তজুড়ে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত। উভয় দেশের অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে বহু জায়গায় গোলাবি

সংসদ ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুটিন চার্নভিরাকুল। এ জন্য তিনি সংসদ ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, যা পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনের পথ খুলে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আনুটিন সংসদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন রাজার কাছে জমা দিয়েছেন।

শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজা মহা বাজিরালংকর্ন ওই ডিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছেন বলে সরকারি রয়্যাল গেজেটে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগাম নির্বাচনের পথ তৈরি হয়েছে, যা আইন অনুযায়ী এখন ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে।

সরকারের মুখপাত্র সিরিপং আঙকাসাকুলকিয়াত বলেন, সংসদে বৃহত্তম বিরোধী দল পিপলস পার্টির সঙ্গে বিরোধের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সংসদে অগ্রসর হতে পারছি না—এই কারণেই এটা ঘটেছে। তিনি বর্ণনা করেন যে একটি আইনগত অচলাবস্থা সরকারের কার্যক্রমকে পঙ্গু করে দিয়েছে।

এই রাজনৈতিক অচলাবস্থা এমন সময়ে ঘটছে যখন থাইল্যান্ড পরপর চার দিন কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তজুড়ে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত। উভয় দেশের অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে বহু জায়গায় গোলাবিনিময় ও বিমান হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

আনুটিন বলেছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়া নিরাপত্তা কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটাবে না। বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সীমান্তে সামরিক মোতায়েন পূর্বের মতোই চলবে।

পরে তিনি সামাজিক মাধ্যমে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন: আমি জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিচ্ছি।

২০২৩ সালের আগস্টের পর থেকে এটিই থাইল্যান্ডের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। আনুটিন উচ্চ পারিবারিক ঋণ, দুর্বল ভোক্তা ব্যয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কচাপের কারণে স্থবির অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow