সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

4 months ago 53

জাতীয় সংসদ ভবনে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের রাজনীতির নানা কালপর্বের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে সংসদ ভবনের নিচ তলায় ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ প্রদর্শনীর আয়োজন উদ্বোধন করা হয়।

এদিন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনে পৌঁছালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে স্বাগত জানান। পরে ফিতা কেটে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এসময় স্পিকার ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’-এ প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র প্রশংসা করেন। তিনি জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান।

এসময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এমপি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, হুইপ মাশরাফী বিন মর্তুজা এমপি এবং হুইপ সানজিদা খানম এমপি উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন।

‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ৫০-এর দশকের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।

৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারা বর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।

তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে আরও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালী ইতিহাস। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।

জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আইএইচআর/এমকেআর/জেআইএম

Read Entire Article