সংসদে ৪২টি সংরক্ষিত আসন চায় হিন্দু মহাজোট

2 months ago 33

আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতিতে সংখ্যালঘুদের জন্য ৪২টি আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে হিন্দু মহাজোট।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি উত্থাপন করেন।

লিখিত বক্তব্যে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জনসংখ্যা ১২ শতাংশ (হিন্দু ১০ শতাংশ ও বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ২ শতাংশ) অনুপাতে ৩৫০ আসন হলে ৪২টি আসন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। ৩৮টি হিন্দুদের জন্য, বৌদ্ধদের ৩টি এবং খ্রিস্টানদের জন্য একটি আসন এবং ৬টি নারী আসন থেকে ৪টি হিন্দু, ২টি বৌদ্ধ নারী সদস্য সারাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও আদিবাসী নারীদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন। সারাদেশের প্রাপ্ত ভোট অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দলগুলো সদস্য মনোনীত করবে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, আদিবাসী ও খ্রিস্টান সংসদ সদস্যরা সম মর্যাদা সম্পন্ন হবেন। ভোট দেবেন স্ব স্ব সম্প্রদায়ের ভোটাররা।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই এদেশের জনসংখ্যা অনুপাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মনোয়ন দেয়নি। সরকারি হিসাব মতে ১২ শতাংশ সংখ্যালঘু হলেও সংখ্যালঘুদের ৪২টি আসন পাওয়ার কথা। কিন্তু যৌথ নির্বাচনের কারণে স্বাধীনতার ৫৫ বছরে কোনো সংসদেই হিন্দু সম্প্রদায় তাদের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি পাঠাতে পারেনি। বিএনপি থেকে মাত্র একজন, জাতীয় পার্টি থেকে ২/৩ জন, আওয়ামী লীগ থেকে ৬ থেকে ১৫ জন সংসদ সদস্য হতে পেরেছেন। এ অবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার, জাতীয় সংসদসহ সবক্ষেত্রে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত, উদার মানুষ ও নির্লোভ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত। আমরা আশা করছি বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্কার কমিটি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এবং দেশে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে ভূমিকা রাখবে। সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি মেনে না নিলে হিন্দু সম্প্রদায় কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং ভোটকেন্দ্রে যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল, সহ-সভাপতি দুলাল কুমার মন্ডল, তরুণ কুমার ঘোষ, যুগ্ম মহাসচিব ডা. হেমন্ত দাস, সুমন কুমার শীল, সঞ্জয় ফলিয়া, বিশ্বনাথ মোহন্ত, অ্যাডভোকেট শুভ মজুমদার, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৌমেন্দ্রনাথ কুন্ডু, সাংগঠণিক সম্পাদক কিশোর কুমার বর্মন, খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, যুব মহাজোটের সভাপতি গৌতম সরকার অপু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল মধু, প্রধান সমন্বয়কারী সুজন গাইন, অর্থ সম্পাদক যাদব গাইন, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজিব কুন্ডু তপু, পল্লব কুমার দাস, সজিব চন্দ্র দাস, হৃদয় চন্দ্র দাস, চন্দন মন্ডল, রুদ্র সাহা, শুভ্র সরকার সুমন পাল, গোপাল মালাকার, তাপস বিশ্বাস রাজিব প্রমুখ।

এসইউজে/কেএসআর/জিকেএস

Read Entire Article