প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর পাল্টে গেছে সচিবালয়ের চিত্র। সব মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নামফলক নামানো হয়েছে। খাঁ খাঁ করছে তাদের দপ্তর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিনে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করার পর অন্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে।
সোমবার থেকে অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, সব মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নামফলক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মন্ত্রীর দপ্তরগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু মন্ত্রীর নামটি সরানো হয়নি, পুরো নামফলকটিই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যে দপ্তর সব সময় সরগরম থাকতো সেখানে এখন সুনসান নীরবতা।
আইন মন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে দেখা গেছে, নাম ফলকটি থাকলেও সেখান থেকে সরে গেছে আনিসুল হকের নাম।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের নাম ফলক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তাদের ইউনিফর্ম রেখে সাদা পোশাকে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা গেছে।
তবে সচিবরাও অফিস করেছেন খুবই কম। দু-একজন সচিব আসলেও তারা অল্প সময়ের মধ্যে আবার সচিবালয় থেকে বেরিয়ে যান।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনেকেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তবে দুপুর পৌঁনে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই আতঙ্কে সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বের হয়ে যান।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। এরপর ১১ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। ওই মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিল প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন। পরে ১ মার্চ আরও সাতজন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা হয় প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৪ জন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পাঁচ বছরের জন্য মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। তবে এ মন্ত্রিসভা প্রায় সাত মাসের মাথায় বিলুপ্ত হলো।
আরএমএম/এসএনআর/এমএস