ভারতীয় সিনেমা যারা দেখেন, তাদের মধ্যে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির নাম শোনেননি এমন মানুষ পাওয়াই কঠিন। সম্প্রতি ‘হিরামান্ডি’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে স্যোশাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা এই পরিচালকের সিনেমায় নায়িকাদের গ্ল্যামারাস পোশাক নিয়ে আলোচনা হয় বরাবরই।
তার সিনেমায় নায়িকাদের বিভিন্ন পোশাক ও মেকআপ থেকে তৈরি হয় ট্রেন্ড। এদিকে যেসব বুটিক ও ফ্যাশন হাউজ ডিজাইনার পোশাকের রেপ্লিকা তৈরি করেন, তাদের কাছে আসতে থাকে শত শত অর্ডার।
১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ চলচ্চিত্রে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের উজ্জ্বল অথচ কোমল রংয়ের লেহেঙ্গাগুলো সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত অনেকের স্বপ্ন। এখনো বিভিন্ন বুটিকে অর্ডার আসে সেই সিনেমার হালকা বেগুনি লেহেঙ্গাটির জন্য। এর পরে ২০০২ ও ২০১০ সালে একই নায়িকাকে নিয়ে বানানো চলচ্চিত্র ‘দেবদাস’ ও ‘গুজারিশ’ -এর লুকগুলোও কম সাড়া ফেলেনি।
বামদিক থেকে ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’, ‘দেবদাস’ ও ‘গুজারিশ’ সিনেমায় ভারতীয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই।
এদিকে ‘তাওয়ায়েফ’ বা রাজা-বাদশাদের যুগের নৃত্যশিল্পী, নর্তকী ও যৌনকর্মীদের জীবন নিয়েও অনেকগুলো সিনেমায় কাজ করেছেন এই পরিচালক। বিভিন্ন সিনেমায় এই চরিত্রগুলোর পোশাক, মেকআপ ও স্টাইলেও রয়েছে নতুন কিছুর ছোঁয়া যা পরবর্তীতে অন্যান্য চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনেও ব্যাপকভাবে চোখে পরে। প্রতিটি চরিত্রের ব্যক্তিত্বের যে পার্থক্য, তা ফুটে উঠেছে তাদের পোশাকেও।
ছবিতে বাম দিক থেকে আলিয়া ভাট, রাণী মুখার্জী ও মাধুরী দীক্ষিত।
গত এক যুগে সঞ্জয় লীলা বানসালি পর পর তিনটি চলচ্চিত্রে কাস্ট করেছেন দীপিকা পাডুকোনকে। যার মধ্যে দুটিই রাজকীয় চরিত্রে। আবার তিনটি চলচ্চিত্রেই দীপিকার চরিত্রের পোশাক ছিলো লেহেঙ্গা। তবুও ছবি দেখেই বলে দেওয়া যায় কোন চরিত্রটি কোন চলচ্চিত্রের । এখানেই পোশাকের সঙ্গে স্টাইলের চমৎকার একটি খেলা খেলেছেন কস্টিউম ডিজাইনার। লেহেঙ্গা পরার আঞ্চলিক ধরন, রাজকীয় গয়না ও মেকআপ- সব মিলিয়ে দীপিকার লুকগুলোতে মোহিত হয়েছেন দর্শকরা।
বাম দিক থেকে ‘পদ্মাবত’, ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ও ‘গালিও কি রাসলীলা রাম-লীলা’ চলচ্চিত্রে দীপিকা পাডুকোন।
এসব পোশাক ও লুক অনেকে বাড়াবাড়ি বললেও অস্বীকার করার উপায় নেই যে সঞ্জয় লীলা বানসালির সিনেমায় নায়িকাদের উপস্থিতি যেন মূর্তিমান গ্ল্যামার।
এএমপি/জিকেএস