সঠিক নীতি প্রণয়নে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব

3 months ago 50

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের (এলডিসি গ্রাজুয়েশন) প্রেক্ষাপটে প্রণীত নীতি ও কৌশল দেশের আসন্ন নবম ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ হওয়া উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নীতি নির্ধারকরা। তারা বলেছেন, কৌশলটিতে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত রূপান্তরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা উচিত।

রোববার (৯ জুন) রাজধানীতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগ (ইউ এন ডেসা) কর্তৃক আয়োজিত ‘টেকনিক্যাল লেভেল ওয়ার্কশপ অন স্মুথ ট্রানজেশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস)’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী মিজ ওয়াসিকা আয়শা খান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গুয়েন লুইস। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।

কর্মশালায় অর্থমন্ত্রী বলেন, সঠিক নীতি, পদ্ধতি ও কৌশল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করতে পারবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে এই দেশের কর্মঠ জনগণ, গতিশীল ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনবান্ধব সরকার।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়ানোর লক্ষ্যে স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি শীর্ষক নীতি কৌশলটিতে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত রূপান্তরের ওপর জোর দেওয়া উচিত। স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি শীর্ষক কৌশলপত্রটি দেশের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত রূপান্তর ও পরিবেশগত মান সুনিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ ২০১৮ ও ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সব মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হয়েছে। ফলে, পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন শেষে ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ।

এমওএস/জেডএইচ/এএসএম

Read Entire Article