সড়কে খানাখন্দ, দুর্ভোগ লাখো মানুষের
জামালপুরের মাদারগঞ্জের বালিজুড়ী-সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা সড়কের প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কের পিচ, ইট, পাথর উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে এসব খানাখন্দে। এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাস ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহন।
এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পরিবহন মালিক, স্টাফ, যাত্রী ও উপজেলার লাখো মানুষ । দীর্ঘ দিনেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বালিজুড়ী-ভাটারা সড়কের ১৮ কিলোমিটারের অধিকাংশই বড়বড় খানাখন্দে ভরা। সবচেয়ে বেশি সমস্যা সড়কটির জোনাইল বাজার ব্রিজ থেকে আদারভিটা ইউনিয়নের পলিশা মোড় পর্যন্ত।
সড়কের চারটি এলাকায় বাজার গড়ে উঠেছে। এসব বাজার মূল সড়কের চেয়ে এক দেড় ফুট উঁচু। সেসব এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি এলেই পানি জমে সড়কের ওপর। এ ছাড়াও সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে হাজারও ঘরবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে পানি এসেও জমছে মূল সড়কে। এতে সড়কের পিচ-খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ায় এবং গর্তগুলো বড় হওয়ায় বৃষ্টির পানি আটকে বড় ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
বাসচালক সোলাইমান মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হলেও সংস্কারের কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চালকরা সবসময় ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালিয়ে আসছেন। বৃষ্টির সময় গর্তগুলো পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে করে গাড়ি উলটে অনেক দুর্ঘটনা ঘটলেও সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রুত এই সড়ক সংস্কারের দাবিও জানান তিনি।
গুনারীতলা ইউনিয়নের আইগেনিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক নাছির আকন্দ বলেন, প্রতিদিন তাদের ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দ থাকার কারণে যাত্রী ও ভারী মালামাল নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান চালাতে হচ্ছে।
জোনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি আরও বেহাল হয়ে পড়ে। খানাখন্দে ভরা রাস্তা কাদাপানিতে ভরে যায়। চলাচল করতে গিয়ে জামাকাপড়ের পাশাপাশি বই-পুস্তকও নষ্ট হয়ে যায়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জানান, এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টি এলে তো চলাই যায় না। বৃষ্টির পানিতে ভর্তি হয়ে যাওয়া এই গর্তগুলোর গভীরতা গাড়ির চালকরা বুঝতে পারেন না। ফলে চাকা গর্তে পড়ে বাস, ট্রাক, নছিমন, ভটভটি ও কাভার্ডভ্যান কাত হয়ে যায় এবং অনেক সময় উলটে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম কিবরিয়া তমাল কালবেলাকে বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিইডির সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়। অনুমোদনের পরই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।