সন্তান জন্মের পর মসজিদে আজান হলে আবার আজান দিতে হবে?

3 months ago 34

সন্তান জন্মের পর সন্তানের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসানের কানে আজান দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে (রা.) বলেন,

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ أَذّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصّلَاةِ.
আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাসান বিন আলি (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর তার কানে নামাজের আজানের মত আজান দিতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৫)।

বিখ্যাত হাদিস ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলি কারি (রহ.) এ হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবজাতকের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। (মিরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৮১)

দুর্বল সূত্রে বর্ণিত কিছু হাদিসে ডান কানে আজান ও বাঁ কানে ইকামত দেওয়ার কথা আছে। অনেক আলেম নবজাতকের ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব বলেছেন।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মসজিদে আজান হলেও নবজাতকের কানে পৃথকভাবে আজান দেওয়া সুন্নত। কারণ এটি একটি স্বতন্ত্র সুন্নত, মসজিদের আজানের মাধ্যমে এ সুন্নত আদায় হবে না।

নবজাতকের কানে আজান যেভাবে দেবেন

নবজাতকের কানে নামাজের আজানের মতোই আজান দিতে হবে। আজানের সব বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ বলার সময় নামাজের আজানের মতোই চেহারা ডানে-বামে ঘোরানো উত্তম।

আজানের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নেই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই কানে আজান দেওয়া সুন্নত।

ওএফএফ/এএসএম

Read Entire Article