সন্তানহারা বাবা-মাকে হেনস্তা, ব্যাখ্যা দিলো মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ

7 hours ago 4

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ ৮ দফা দাবি নিয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন সন্তানহারা বাবা-মা ও অভিভাবকরা। এমনকি তাদেরকে উত্তরার দিয়াবাড়ির ক্যাম্পাসে প্রবেশেও বাধা দেন নিরাপত্তা প্রহরীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

বিষয়টি নিয়ে জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরপর সন্তানহারা বাবা-মাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা ও হেনস্তার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৭ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুলের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাইলস্টোনে বিষাদময় বিমান দুর্ঘটনা সমগ্র জাতির জন্যই একটি দুঃখজনক অধ্যায়। দুর্ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছেন, তারা আমাদের সন্তান, ভাই-বোন এবং সহকর্মী। প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের শোকাহত করেছে। আমরা শুরু থেকেই আন্তরিক সহমর্মিতাসহ হতাহত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।

এতে বলা হয়, হতাহতের পরিবারের তিন-চারজন সদস্য কলেজের প্রধান ফটকে এসে প্রবেশের কোনো রকম নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন ফটক রক্ষার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা।

কলেজ প্রাঙ্গণে কিছুটা বিশৃঙ্খলার তৈরি হয় উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকার্যক্রম চলার সময় এ ধরনের বিশৃঙ্খলা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসময় তারা (অভিভাবকরা) চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। কলেজের একটি একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নেন, যখন ওই ভবনে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান চলছিল।jagonews24.com

এতে আরও বলা হয়, এ সময় তারা অনেকটা ধস্তাধস্তি করে একটি সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করেন এবং জোরে জোরে কথা বলতে থাকায় এক অপ্রতাশিত পরিবেশ তৈরি হয়। এ পরিস্থিতিতে সেমিনার কক্ষে এসে কলেজের একজন উপাধ্যক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন এবং অনুরোধ করেন তাদের নির্ধারিত প্রতিনিধি যেন অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান। কিন্তু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে তারা স্মারকলিপি না দিয়েই বের হয়ে যান, যা ছিল অপ্রত্যাশিত ও নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক।

তবে কর্তৃপক্ষের এমন ব্যাখ্যাকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন অভিভাবকরা। কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর করা হলে নিহত ফাতেমার মামা লিয়ন মীর জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আগেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা এবং অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়েছি। আমরা স্বজনহারা, সন্তানহারা বাবা-মা ও অভিভাবক। আমাদেরকে তারা সসম্মানে প্রবেশ করানোর পরিবর্তে নিরাপত্তাপ্রহরীদের দিয়ে অপমান-অপদস্ত করিয়েছেন। এটা ন্যক্কারজনক।

তিনি বলেন, এর আগের দিনও যখন অভিভাবকরা মানববন্ধন করেন, সেখানে কোচিং বাণিজ্যসহ নানান বিষয় বক্তব্যে উঠে আসে। সেগুলো অবলীলায় অস্বীকার করে রাতে গৎবাঁধা বিবৃতি দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা সন্তানহারা বাবা-মা ও অভিভাবকদের প্রতি যে নিষ্ঠুর আচরণ করছে, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

এএএইচ/কেএসআর

Read Entire Article