সন্ত্রাস ও নাশকতার অভিযোগে বাবা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩

ময়মনসিংহের ভালুকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রম ও রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এসএনএস সিএনজি স্টেশন এলাকা থেকে ও গভীর রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন— নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য মো. জুবায়ের হোসেন সিয়াম (২০) এবং ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোখছেদুল আহম্মেদ সানি (২০)। তারা দুজনই ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা। অপর গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. আতিকুর রহমান খান ওরফে রিটু মেম্বার (৫৮)। তিনি মেদুয়ারী ইউনিয়ন ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এসএনএস সিএনজি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্যরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহায়তায় সমবেত হয়ে মিছিল ও নাশকতার পরিকল্পনা করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২০-২৫ দুষ্কৃতকারী পালিয়ে গেলেও তদন্তে গ্রেপ্তার দুজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা

সন্ত্রাস ও নাশকতার অভিযোগে বাবা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩

ময়মনসিংহের ভালুকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রম ও রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এসএনএস সিএনজি স্টেশন এলাকা থেকে ও গভীর রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য মো. জুবায়ের হোসেন সিয়াম (২০) এবং ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোখছেদুল আহম্মেদ সানি (২০)। তারা দুজনই ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা। অপর গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. আতিকুর রহমান খান ওরফে রিটু মেম্বার (৫৮)। তিনি মেদুয়ারী ইউনিয়ন ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এসএনএস সিএনজি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্যরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহায়তায় সমবেত হয়ে মিছিল ও নাশকতার পরিকল্পনা করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২০-২৫ দুষ্কৃতকারী পালিয়ে গেলেও তদন্তে গ্রেপ্তার দুজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।

এজাহার অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভালুকা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় হামলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে সভাস্থলের চেয়ার, টেবিল, মাইক ভাঙচুর করে, মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় তদন্ত ও সাক্ষ্য-প্রমাণে গ্রেপ্তারদের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তে বিঘ্ন ঘটানো ও পলাতক হওয়ার আশঙ্কায় গ্রেপ্তারদের জামিনের বিরোধিতা করে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ. মালেক কালবেলাকে জানান, সন্ত্রাস ও নাশকতার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে বিভিন্ন মামলায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow