সপ্তাহে তিনদিন চলবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ফ্লাইট

ঢাকা থেকে পাকিস্তানের করাচিতে সপ্তাহে তিনদিন ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসেইন খান। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান। করাচি রুটে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে ইকবাল হুসাইন খান বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করছি। আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থা করাচিতে তিনটি সাপ্তাহিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে।’ ফ্লাইটের রুট ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতীয় উড়োজাহাজ যেমন বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে, তেমনি বিমানের ফ্লাইটও ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করে চলবে। সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, পাকিস্তানের ওপর ভারতের চলমান আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলোর ঢাকা রুটে শিগগির ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা কম। হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বাড়ানোর সুযোগ আছে। কিন্তু সরাসরি প্রবেশাধিকার না থাকায় বাণিজ্য সীমিত। অতীতে রেলপথে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণ

সপ্তাহে তিনদিন চলবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ফ্লাইট

ঢাকা থেকে পাকিস্তানের করাচিতে সপ্তাহে তিনদিন ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসেইন খান।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান।

করাচি রুটে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে ইকবাল হুসাইন খান বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করছি। আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থা করাচিতে তিনটি সাপ্তাহিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে।’

ফ্লাইটের রুট ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতীয় উড়োজাহাজ যেমন বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে, তেমনি বিমানের ফ্লাইটও ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করে চলবে।

সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, পাকিস্তানের ওপর ভারতের চলমান আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলোর ঢাকা রুটে শিগগির ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা কম।

হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বাড়ানোর সুযোগ আছে। কিন্তু সরাসরি প্রবেশাধিকার না থাকায় বাণিজ্য সীমিত। অতীতে রেলপথে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য হত। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানের খেজুর আঞ্চলিক বাজারে পৌঁছায় দুবাই হয়ে। সরাসরি রুট থাকলে কৃষকদের আয় বাড়বে এবং লাভজনক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।

হাইকমিশনার আরও বলেন, ভৌগোলিক সংযোগের দুর্বলতা দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রগতির সবচেয়ে বড় বাধা। যদিও অতীতে কাফেলার পথ আফগানিস্তান, পেশোয়ার, ঢাকা হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এককভাবে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না—আঞ্চলিক সহযোগিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র বাস্তব পথ।

সুত্র-পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow