কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার হওয়ার পর এবার আলোচনায় আসলেন জনপ্রিয় স্টান্ট রাইডার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আরএস ফাহিম চৌধুরী। বুধবার (২৭ আগস্ট) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন। স্ট্যাটাসে ফাহিম ছাত্র আন্দোলনসহ কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘মানবিকতার দিক বিবেচনা করে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম, নিজের ক্যারিয়ার, পরিবারের সুরক্ষার কথা ভুলে আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করলাম, যতটুকু সাধ্য ছিল জুলাই আহতের পাশে দাঁড়ালাম আর্থিকভাবে, অনলাইনে এক্টিভিটিতে।’
তিনি বলেন, ‘এগুলোর কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলাম। দেশ পুনরায় স্বাধীন হলো। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত, অনলাইন মব হলো, সব দফায় দফায় ক্লিয়ার করলাম। ট্যাগ লাগালেন ‘রাজাকার’, দিলেন ভূয়া মামলা, চাইলেন মামলা ক্লিয়ার করার জন্য বিপুল টাকা। দিতে ব্যর্থ হলাম, শুরু করলেন আবার ভূয়া ট্যাগ লাগানো, ব্যক্তিগত অপছন্দের জায়গা থেকে শুরু করলেন মনমতো লেখালেখি, ফাঁসিয়ে দেওয়ার নতুন নতুন স্ক্রিপ্ট।’
‘এখন একদল যারা ফাঁসাতে চান তাদের স্ক্রিপ্ট, Rs Fahim আগে সবার সাথে সম্পর্ক ছিল, ছবি ছিল, আন্দোলনে যা করছে এগুলো কোনোভাবে ভুলিয়ে দিয়ে কোনোরকম জেলে দিয়ে দিই। আরেকদল যারা পূর্বের ক্ষমতাসীন ছিল তাদের স্ক্রিপ্ট, সে কেন ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিল, সে বেঈমান, তাকে জেলে দিই, তার বাসায় মব সৃষ্টি করে একটা হামলা চালাই, তাকে শেষ করে দিই।’
ফাহিম আরও জানালেন, ‘তাহলে বলেন আমার দোষটা ঠিক কোন জায়গায়? ট্যাগ দেন আমি কিশোর গ্যাং চালাই, সেটার কারণ কি জানেন? ক্যান আমাকে এই ছেলেগুলো এতো ভালোবাসে, কেন আমি না ডাকলেও বার বার আসে।’
সবশেষে তিনি লেখেন, ‘কপালে কী আছে জানি না, কী হবে সেটাও জানি না। শুধু এতোটুকু জানি, সব কালো চক্রান্ত ও ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে রক্ষা করার মালিক আল্লাহ। ইনশাআল্লাহ আমি হারব না, আপনাদের ভালোবাসা আমাকে ঠিকই রক্ষা করবে। সবাই ভালো থাকবেন সবসময়।’
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জন্ম নেওয়া আরএস ফাহিম বেড়ে উঠেছেন রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে। সাইকেল স্টান্ট ভিডিও দিয়ে তার যাত্রা শুরু। পরে ২০১৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় বাইকার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হিসেবে দাঁড় করান নিজেকে ।